How to Stop Smoking

শত চেষ্টা করেও ধূমপান ছাড়তে পারছেন না? প্রতি দিনের এক অভ্যাসেই হবে মুশকিল আসান

অধিংকাংশেই সিগারেটের কুফল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু অনেকে ধূমপান মন থেকে ছাড়তে চাইলেও পেরে ওঠেন না। কারণটা কী?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:২১
Symbolic image of smoking

কর্মক্ষেত্রে চাপ, সংসারিক টানাপড়েনের কারণে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে জীবনে, সেই কারণে বাড়ছে সিগারেটের প্রতি আসক্তিও। ছবি: শাটারস্টক।

সিগারেটের নেশা ছাড়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন? অনেক কিছু করে দেখেছেন। কিন্তু কিছুতেই ছাড়তে পারেননি? তবে এক বার যোগাসনের সাহায্য নিয়ে দেখুন। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ৮৫ শতাংশ ধূমপায়ী যোগাসন ও ধ্যানের সাহায্যে ধূমপানের নেশা ছাড়তে পারেন।

অধিংকাংশ লোক সিগারেটের কুফল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। অনেকে এমনও আছেন, যাঁরা ধূমপান মন থেকে ছাড়তে চান। তবু পেরে ওঠেন না। অফিসে কোনও রকম সমস্যা হলেই নীচে গিয়ে একটা সিগারেটে টান না দিলে নাকি উদ্বেগ কমে না। কর্মক্ষেত্রে চাপ, সংসারিক টানাপড়েনের কারণে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে জীবনে। মানসিক চাপ কমাতে পারলেই ধূমপানের আসক্তিও কমবে। মানসিক চাপ কমতে পারে যোগাসনের গুণে।

Advertisement

কিন্তু নিয়মিত কোন আসন করলে আপনি নিত্য জীবনের উদ্বেগ কমাতে পারেন, তা জেনে নিন।

উষ্ট্রাসন: এই আসন রক্ত চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে মস্তিস্কে বেশি অক্সিজেন যায়। মন অনেক শান্ত হয়। মাটিতে হাঁটুর উপর ভর করে বসে শরীর পিছনের দিকে হেলিয়ে দিয়ে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।

সেতু বন্ধাসন: এই আসনও শরীরের রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। শিরদাঁড়ার জন্যেও এ আসন খুব ভাল। মাটিতে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে সামনের দিকে নিয়ে আসুন। এ বার শরীরটা হাওয়ায় তুলে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। কয়েক সেকেন্ড এই অবস্থায় থেকে শবাসনে ফিরে আসুন।

Symbolic image of  doing Yoga

প্রাণায়াম করলেও কমতে পারে সিগারেটের প্রতি আসক্তি। ছবি: শাটারস্টক।

ভদ্রাসন: যোগব্যায়ামের অন্যতম সহজ ও সাধারণ আসন এটি। কিন্তু আপনার পায়ের মাংসপেশিগুলি স্ট্রেচ করার জন্য দারুণ ব্যায়াম এটি। নিয়মিত করলে মনও অনেক শান্ত হবে। মাটিতে বসে দু’পায়ের পাতা একে অপরের সঙ্গে জুড়ে নিন। হাতের পাতা দু’টিও রাখুন পায়ের পাতার উপর।

বালাসন: বলা হয়, যোগায় সবচেয়ে রিল্যাক্সিং আসন এটি। ইংরেজিতে এর নাম ‘চাইল্ডস পোজ’। মন শান্ত করার জন্য এই আসনের জুড়ি মেলা ভার। হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা বেঁকান। শরীরটা এমন ভাবে বেঁকান যাতে বুক গিয়ে উরুতে ঠেকে। মাথা মেঝেতে রাখুন। আর হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখুন। এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এর জুড়ি নেই।

প্রাণায়াম: শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করলে মনের দুশ্চিন্তাগুলি অনেকটা কমানো সম্ভব। ১০-১৫ মিনিট চুপ করে ধ্যান করলেও উপকার পাবেন। এই সময়ে কপালভাতি, ভ্রমরির মতো প্রাণায়াম করতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement