কাকে বলে কোম্বুচা ছবি: সংগৃহীত
চায়ের কাপে ঝড় না উঠলে কি আর বাঙালির দিন কাটতে পারে? আর চা বললেই বাঙালি সগর্বে বলে ওঠে দার্জিলিঙের নাম। দার্জিলিঙের চায়ের স্বাদ নিয়ে কোনও দ্বিধা না থাকলেও যাঁরা নিত্য নতুন স্বাদ চেখে দেখতে ভালবাসেন, তাঁদের কাছে একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে কোম্বুচা।
কোম্বুচা ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি এক বিশেষ ধরনের চা। এই চা তৈরিতে ব্যাক্টেরিয়া, ইস্ট, চিনি ও চা ব্যবহৃত হয়। ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় বলে এতে ঠান্ডা পানীয়ের মতো কিছুটা ঝাঁঝ থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই চায়ে বেশ কিছু উপকারী ব্যাক্টেরিয়া থাকার কারণে এই পানীয় বেশ স্বাস্থ্যকর।
১। পেট ভাল রাখতে
বিশেষজ্ঞদের মতে কোম্বুচা প্রবায়োটিক ব্যাক্টেরিয়ায় সমৃদ্ধ। এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়া পেটের জন্য খুবই উপকারী। তাই এই চা পান করলে পেটের একাধিক সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে। বিশেষত ডায়েরিয়া, পেট ব্যথা ও ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো সমস্যা কমাতে কাজে আসতে পারে এই চা।
২। সংক্রমণ কমাতে
ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত এই চায়ে থাকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। যার জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। ফলে জীবাণুর সংক্রমণ কমাতেও কাজে আসতে পারে এই পানীয়। তবে এই ব্যাপারে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
৩। মানসিক স্বাস্থ্য
কারও কারও মতে এই চা মানসিক চাপ কমাতে খুবই কার্যকরী। এ ছাড়াও ইঁদুরের উপর করা একাধিক গবেষণা বলছে, এই পানীয় শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে। এমনকি ডায়াবিটিসের বিরুদ্ধেও কাজে আসতে পারে এই পানীয়। তবে এখনও এই বিষয়গুলি গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। তাই এখনই এই বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। পাশাপাশি, সকলের এই পানীয় সহ্য নাও হতে পারে। আবার অতিরিক্ত কোম্বুচা পান করলেও পেটের গোলযোগ, বমি, ইস্টের সংক্রমণ কিংবা জন্ডিসের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমনকি হতে পারে মৃত্যুও। তাই কোম্বুচা পান করার সময়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পান করাই ভাল।