Water Consumption

বেশি জল খেলে কী সমস্যা হতে পারে? নুন আর জল খাওয়ার মধ্যে কি সমতা বজায় রাখা জরুরি?

প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। কী কী সমস্যা হয়?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:১৯
Image of Drinking water.

প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। প্রতীকী ছবি।

শরীর সুস্থ রাখতে জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, সকলের মুখেই একই পরামর্শ শোনা যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, জলের গুণেই সুস্থ থাকে শরীর। জলের ঘাটতি ডেকে আনে মারাত্মক কিছু শারীরিক সমস্যা। জলের মাহাত্ম্যের কথা মাথায় রেখে তাই ক্ষণে ক্ষণে জল খান অনেকেই। চিকিৎসকদের মতে, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া জরুরি। কিন্তু রোগের ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই তার চেয়ে বেশি জল খান।

চিকিৎসকরা জানান, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা নুন কম খান, তাঁদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খাওয়ার ফলে বিপদ বাড়তে পারে। দিনে ৩-৪ গ্রাম খাচ্ছেন, অথচ জল খাওয়ার পরিমাণ ৫-৬ লিটার, তা হলে কিন্তু মুশকিল।

Advertisement

নুন খাওয়ার পরিমাণের সঙ্গে জল খাওয়ার ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। দিনে ৫-৭ গ্রাম নুন খেলে ৫-৭ লিটার জল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু নুন কম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, বেশি জল খেলে রক্তে সোডিয়াম কমে যেতে পারে।

কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপরও নির্ভর করে জলের চাহিদা। শাকসব্জি, ডালের মতো খাবার খেলে জল একটু কম খেলেও চলে। কিন্তু বাইরের তেল-মশলা জাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে জল বেশি করে খেতেই হবে। মোট কথা, শরীরে জলের প্রয়োজন অবশ্যই আছে, কিন্ত প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু শরীরে প্রবেশ করলেই সমস্যা শুরু হয়। বমি বমি ভাব, শারীরিক ক্লান্তি, মাথাব্যথা— প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জল খাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ এগুলি। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল খান।

আরও পড়ুন
Advertisement