যতটা চটজলদি চিংড়ি মাছ রান্না করা যায়, এই মাছ পরিষ্কার করাটা ততটাই ঝক্কির! ছবি- সংগৃহীত
চিংড়ি মাছ খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি হাতে গোনা। বাজারে গেলেই হয় বাগদা নয় গলদা, আর তা না হলে কুচো চিংড়ি তো থাকবেই বাঙালির থলিতে। যতটা চটজলদি চিংড়ি মাছ রান্না করা যায়, এই মাছ পরিষ্কার করাটা ততটাই ঝক্কির! অনেকেই এই ঝক্কি এড়াতে মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকেই চিংড়িমাছ পরিষ্কার করিয়ে আনেন। অনেকেই চিংড়ির গায়ে লেগে থাকা কালো শিরা ফেলেন না, আর তাতেই হয় সমস্যা।
চিংড়ি মাছের খোলসের নীচে এই কালো শিরায় শরীরের নানা বর্জ্য পদার্থগুলি জমা থাকে। এই শিরাটি ভাল ভাবে পরিষ্কার না করে এই মাছ খেলে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে, শুধু তা-ই নয়, এর ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতিও হতে পারে।
ঠিক কী কী সমস্যা হয় শিরা-যুক্ত চিংড়ি খেলে?
চিকিৎসকদের মতে, আপনার যদি চিংড়ি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা না থাকে তা হলে শিরা-যুক্ত চিংড়ি খেলে আপনার অ্যালার্জি হবে না। তবে এই শিরা খেলে আপানার পেটের গন্ডগোল ও বদহজমের সমস্যা হতেই পারে। আর যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁরা শিরা-যুক্ত মাছ খেলে শরীরে প্রদাহ তৈরি হয়। শ্বাসনালির পেশির সংকোচন বেড়ে যায়। রক্তনালিগুলি ফুলে ওঠে। চিকিৎসার পরিভাষায় এর নাম ভ্যাসোডাইলেশন। যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত আর হৃদ্যন্ত্রে পৌঁছয় না। মস্তিষ্কেও রক্ত পৌঁছানোর পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে গলা ধরে যাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা হয়। এমনকি, এর জেরে মৃত্যুও হতে পারে।
তবে শিরা-যুক্ত চিংড়ি মাছ খেলে ঠিক কারণে এমন সমস্যা হয়, সেই নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
কী ভাবে চিংড়ি মাছ সহজে পরিষ্কার করবেন?
১) বাজার থেকে আনা চিংড়ি মাছ ভাল করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। অনেক সময় চিংড়ি মাছের হালকা গন্ধ থাকে। সে ক্ষেত্রে গন্ধ দূর করতে মাছগুলি ভিনিগার জলে মিনিট ১৫ ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
২) ভাল করে জল ঝরিয়ে মাথা, পা ও লেজ বাদ দিয়ে দিন। এ বার একটি টুথপিকের সাহায্যে চিংড়ি মাছের পিঠের দিকে কালো শিরাটি বার করে নিন।
৩) এ বার অনেকটা নুন জলে চিংড়ি মাছ ডুবিয়ে রেখে ভাল করে পরিষ্কার করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে মাস খানেক নষ্ট হবে না সাধের চিংড়ি মাছ।