Dysphagia

খাবার গলায় আটকাচ্ছে? অনবরত খুকখুকে কাশি, ব্যথা? রোগকে মোটেও হেলাফেলা করবেন না

খেতে গেলেই গলায় আটকে যাচ্ছে খাবার? দমবন্ধ হয়ে আসছে? সমস্যাটা কী?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ ১৫:৩৮
What Causes Dysphagia, Painful Swallowing can be treated

গলায় ব্যথা, খাবার গেলায় সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছবি: ফ্রি পিক।

খাবার গিলতে গেলেই কি কষ্ট হচ্ছে? যখনই খাচ্ছেন, মনে হচ্ছে গলার কাছে খাবার আটকে গিয়েছে? ঢোঁক গিলতে গেলে প্রচণ্ড ব্যথা টের পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে দিনভর খুকখুকে কাশি লেগেই আছে। আপনি হয়তো ভাবছেন ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হয়েছে। সব সময়ে কিন্তু তা না-ও হতে পারে। যদি দেখেন, ব্যথা দিন দিন বাড়ছে, ওষুধেও সারছে না, খাবার গিলতে গেলেই দমবন্ধ হয়ে আসছে, তখন সাবধান হতে হবে।

Advertisement

গলায় খাবার আটকে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। একে ডাক্তারি ভাষায় বলে ‘চোকিং’। কিন্তু যদি খাদ্যনালিতে দীর্ঘ ক্ষণ খাবার আটকে থাকে এবং সে কারণে গলার কাছে ক্রমাগত ব্যথা হতে থাকে, তা হলে চিন্তার কারণ আছে। এই ধরনের সমস্যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘ডিসফ্যাজিয়া।’

কাদের হয় এই রোগ?

মূলত বয়স্কদের বেশি দেখা যায়। গেলার সমস্যার কারণে গলার কাছে খাবার আটকে থাকে। তাড়াহুড়ো করে খাবার খেতে গিয়ে বা খাওয়ার সময়ে কথা বলতে গিয়ে দম আটকে খুব কষ্টকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। খাবার শুকনো ও শক্ত হলে গিলতে কষ্ট হয়। শ্বাসনালির মুখে খাবার আটকে গেলে অক্সিজেন চলাচল খুব কমে যায়। এমনকি, পুরোপুরি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত আটকে যাওয়া খাবারের টুকরো বার না করে দিলে রোগীকে বাঁচানো যায় না।

ডিসফ্যাজিয়া হওয়ার একটা কারণ হতে পারে খাদ্যনালির টিউমার। খাদ্যনালিতে টিউমার কোষ বড় হতে শুরু করলে খাদ্যনালির পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। খাদ্যনালি সরু হয়ে যায়, খাবার চলাচলের জায়গা রুদ্ধ হয়। তখন ডিসফ্যাজিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে থাকে।

কী কী লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন

খাবার গিলতে সমস্যা, গলায় প্রচণ্ড ব্যথা, শ্বাস নিতে সমস্যা, ঘন ঘন কাশি, বুকে ব্যথা হতে পারে।

সারবে কী ভাবে?

দীর্ঘদিন রোগ পুষে রাখলে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। খাদ্যনালিতে খাবার জমতে জমতে তার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে শরীরে। চিকিৎসকেদের পরামর্শ, খাবার গিলতে কষ্ট, গলায় প্রচণ্ড জ্বালাযন্ত্রণা হলে দেরি না করে ওষুধ খেতে হবে। যদি ধরা পড়ে খাদ্যনালিতে টিউমার হয়েছে, তা হলে দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে হবে। রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে তখন রোগীকে টিউবে করে খাবার খাওয়ানো হয়। ‘এন্ডোস্কোপি’ করেও খাদ্যনালিকে প্রসারিত করেন চিকিৎসকেরা।

চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকেও সাবধান থাকতে হবে। ডিসফ্যাজিয়া ধরা পড়লে খাবার বার বার অল্প অল্প করে খেতে হবে। ঝালমশলাদার খাবার, বেশি চিনি আছে এমন খাবার, গরম চা-কফি খাওয়া চলবে না। খাবার গেলার সময়ে লম্বা করে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে গিলতে হবে খাবার। খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়া চলবে না। তা ছাড়া জিভ, ঠোঁটের কিছু ব্যায়ামও আছে, যা করলে আরাম পাওয়া যায়। সেটা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।

আরও পড়ুন
Advertisement