Sugar Craving

মিষ্টি দেখলে নিজেকে সামলাতে পারেন না? দোষ আপনার নয়, কলকাঠি নাড়ছেন বাপ-ঠাকুরদা

ঘন ঘন মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা ভাল নয়। তা সত্ত্বেও রসগোল্লা, সন্দেশ, পায়েস থেকে চকো লাভা কেক, বাকলাভা, আইসক্রিম— কাউকেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না!

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৮
Sweet Craving

ছবি: সংগৃহীত।

বিষয়সম্পত্তি নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিবাদ! দোষ কার? বাপ-ঠাকুরদার।

Advertisement

আবার, ক্ষতি হবে জেনেও রসগোল্লা, সন্দেশ, পায়েস থেকে চকো লাভা কেক, বাকলাভা কিংবা আইসক্রিম— কাউকেই প্রত্যাখ্যান করতে না পারা! এর নেপথ্যে রয়েছেন কারা?

এমন অভ্যাসের দায়ও চাপিয়ে দেওয়া যেতে পারে বাপ-ঠাকুরদার উপর। সাম্প্রতিক গবেষণা অন্তত সে কথাই বলছে। ব্রিটেনের ‘ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহাম স্টেট্‌স’-এর ‘স্কুল এফ মেডিসিন’ বিভাগের চিকিৎসক এবং গবেষণা প্রধান পিটার অ্যালডিসের মতে, রক্তে ভাসমান শর্করা কার শরীরে কতটা শোষিত হবে বা আদৌ শোষিত হবে কি না, তা নির্ভর করে জিনের বিন্যাসের উপর। পরবর্তী কালে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও এই জিনের কারসাজিতেই বাড়ে-কমে।

এই ‘এসআই’ জিনের কাজটা ঠিক কী?

গবেষকেরা বলছেন, রক্তে থাকা সুক্রোজ় এবং মল্টোজ়ের মতো জটিল শর্করা ভাঙার কাজে বা সিন্থেসিসে সাহায্য করে ‘সুক্রেজ় আইসোমল্টেজ়’ বা ‘এসআই’ জিন। তার পর ক্ষুদ্রান্ত্রে তা শোষিত হয়। এই ‘এসআই’ জিনের বিন্যাস এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম হয়। সে ক্ষেত্রে শর্করা শোষণ করার ক্ষমতাও ভিন্ন হবে। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে যাঁদের ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম’ রয়েছে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ‘এসআই’ জিনটি আরও বেশি ত্রুটিপূর্ণ।

প্রাথমিক ভাবে এই পরীক্ষাটি কয়েকশো ইঁদুরের উপর করা হয়েছিল। পরে, গ্রিনল্যান্ডের ৬ হাজার এবং ইংল্যান্ডের প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ এই সমীক্ষায় অংশ নেন। উল্লেখ্য, গ্রিনল্যান্ডের মানুষদের মধ্যে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কম। তুলনায় ইংল্যান্ডের মানুষদের এই প্রবণতা বেশি। সমীক্ষায় দেখা যায়, যাঁরা মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করেন না, অর্থাৎ গ্রিনল্যান্ডের মানুষ— তাঁদের ক্ষেত্রে শর্করা পরিপাকে বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে। আবার, ইংল্যান্ডের মানুষদের মধ্যে মিষ্টিজাতীয় বা সুক্রোজ়-যুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা তুলনায় বেশি বলে তাঁদের ‘এসআই’ জিনের গঠন এবং কার্যক্ষমতাও অন্য রকম।

পিটার বলেন, “অতিরিক্ত ক্যালোরি থেকে স্থূলত্ব এবং টাইপ ২ ডায়াyfটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ইংল্যান্ডের মানুষেরা দিনে অন্ততপক্ষে তিন বেলা মিষ্টি খাবার খান। ক্রটিপূর্ণ হলেও কিছু ক্ষেত্রে ওই জিনটি কর্মক্ষম। তাই গ্রিনল্যান্ডের তুলনায় ইংল্যান্ডের মানুষদের মধ্যে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও বেশি।”

আরও পড়ুন
Advertisement