নিউমোনিয়ার লক্ষণ বুঝবেন কী ভাবে, জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
ঋতু বদল মানেই সর্দিকাশি, জ্বর। তবে এখনকার সময় ব্যাক্টেরিয়া-ভাইরাসদের যা দাপট, তাতে শুধু সর্দিকাশির ভাইরাসই যে ছড়াচ্ছে তা নয়, রীতিমতো জাঁকিয়ে বসছে ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া। স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি নামের ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ নিউমোনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। তা ছাড়া, ছত্রাকঘটিত কারণেও অনেক সময় নিউমোনিয়া হতে পারে।
সাধারণ সর্দিকাশির সঙ্গে নিউমোনিয়া গুলিয়ে ফেলছেন অনেকে। ফলে সঠিক চিকিৎসা শুরু হতে দেরি। কী ভাবে নিউমোনিয়ার লক্ষণ চিনবেন তা বলে দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
সাধারণ সর্দিকাশি না নিউমোনিয়া বুঝবেন কী করে?
ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে নিউমোনিয়া হয়। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে সামান্য ঠান্ডা লাগা থেকে নিউমোনিয়া সাধারণত হয় না। কিন্তু শিশু ও বয়স্কদের ভয় বেশি।
১) নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হল জ্বর। তার সঙ্গে কাশি। শুকনো কাশি খুব ভোগাবে।
২) শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জোরে শ্বাস নেওয়ার সময়ে বুকে ব্যথা হতে পারে।
৩) মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হবে।
৪) খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে। সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব থাকবে। প্রচণ্ড ক্লান্তি, ঝিমুনি ভাব থাকবে।
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?
শরীরে বিভিন্ন অসুখবিসুখ থাকলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। যেমন ডায়াবিটিস, আর্থ্রাইটিস, কিডনির রোগ, এইচআইভি সংক্রমিতদের নিউমোনিয়া হলে ভয় বেশি। আসলে বিভিন্ন রোগের কারণে যখন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তখন এই অসুখের জীবাণু শরীরের মধ্যে দ্রুত ছড়াতে থাকে। তাই অন্য রোগ থাকলে এবং এই রকম লক্ষণ দেখলে আগেভাগে সাবধান হতে হবে। যদি দেখেন কাশি কমছেই না, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বুকের এক্স-রে করে নিতে হবে। একই সঙ্গে জ্বরের মাত্রা না কমলেও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়াই শ্রেয়।