Side Effects of Sleeping Pills

রোজ ঘুমের ওষুধ খান? অজান্তেই কী ধরনের বিপদ ডেকে আনছেন?

ঘুমের ওষুধ খেলে ঘুম চলে আসে ঠিকই। কিন্তু তার উপরকে নির্ভরশীল হওয়া কি ঠিক? এর ফলে শরীরে স্থায়ী কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫৮
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রতীকী ছবি।

আধুনিক জীবনযাপন, মানসিক চাপ, কর্মব্যস্ততা— এ সব নানাবিধ সমস্যার অনিদ্রায় ভুগছেন অনেকে। ফলে হয় সারা রাত জেগে কাটাতে হয়, নয়তো মাঝেমাঝেই ভেঙে যায় ঘুম। ঘুম না আসার ক্লান্তি ঘিরে ধরে সহজেই। উপায় না দেখে অনেকেই বাধ্য হন ঘুমের ওষুধ খেতে। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা ইদানীং বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা আসলে শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অনেকেই ধরে নিয়েছেন যে, ঘুমের ওষুধ না খেলে ঘুমই আসবে না। এই বিশ্বাস সবার আগে মন থেকে সরাতে হবে। কখনও কোনও অসুখে সাময়িক ভাবে চিকিৎসকরা এই ওষুধ খেতে দেন ঠিকই। কিন্তু তা অভ্যাসে পরিণত করা উচিত নয়। কারণ এই ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

Advertisement

প্রতি দিন ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?

স্মৃতিশক্তি হ্রাস

সব ঘুমের ওষুধের নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে তোলা। ঘুমের ওষুধের প্রভাব সরাসরি থ্যালামাসে পড়ে। তা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকে নিস্তেজ করে ঘুম আনতে সাহায্য করে। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে তা এক সময়ে থাবা বসাবে স্মৃতিতে।

মানসিক অবসাদ

নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনকে পারে মানসিক অবসাদও। এই ওষুধ চাপ ফেলে মনেও। এই ওষুধ শরীরে কর্টিসল হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে। প্রয়োজনের বেশি ক্ষরিত হয় কর্টিসল। আর তাতেই বাড়ে সমস্যা।

নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনকে পারে মানসিক অবসাদও।

নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনকে পারে মানসিক অবসাদও। প্রতীকী ছবি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে

নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেলে রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায় শরীরের। ফলে রোগবালাই সহজেই বাসা বাঁধে। চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দিতে পারে।

ফুসফুসের সমস্যা

ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রভাব পড়ে ফুসফুসেও। ফুসফুসের ক্ষমতা কমতে থাকে। অল্প পরিশ্রম করলেই হাঁপ ধরে যায়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে বা এক দিনে বেশি হাঁটাহাঁটি করলেও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এর ফলে অনেকেই দীর্ঘ স্থায়ী শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement