সত্যিই কি ত্রিফলা সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই? ছবি: সংগৃহীত
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রোগ-ব্যধিকে ঠেকিয়ে রাখতে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সত্যিই কি ত্রিফলা সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই? কী বলছে হালের চিকিৎসাবিজ্ঞান?
আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা— এই তিন ফল শুকিয়ে তাদের চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। আগে জেনে নেওয়া ভাল এই তিন ফল পৃথক ভাবে আমাদের শরীরের পক্ষে আদৌ কতটা উপকারী।
আমলকি: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ফল পেটের সমস্যা দূর করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন পদার্থ বার করে দিতেও আমলকি বেশ উপকারী। তা ছাড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও আমলকির জবাব নেই।
হরিতকি: এতেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এর ব্যহবার করা যেতেই পারে।
বহেরা: এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশির জোর বাড়তে আর হাড় মজবুত করতেও বহেরা বেশ উপকারী।
বিভিন্ন গবেষণায় ত্রিফলার একাধিক গুণাগুণ উঠে এসেছে। কী কী গুণ রয়েছে ত্রিফলার?
১) মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই মিশ্রণ। বিপাক হার বাড়াতে এই মিশ্রণ দারুণ কাজ করে।
২) ক্যানসারের মতো মারণরোগ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে ত্রিফলা।
৩) যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও ত্রিফলা খেলে উপকার পেতে পারেন।
৪) ডায়াবিটিসের সমস্যায় যাঁরা কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরাও নিয়মিত ত্রিফলা খেতে পারেন। ত্রিফলা অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়াতে সাহায্য করে।
৫) ত্বকের নানা সমস্যার দাওয়াই হতে পারে ত্রিফলা। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খেলে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে এটি।
কী ভাবে খাবেন ত্রিফলা?
বেশ কিছু নামী সংস্থার ত্রিফলা বড়ি পাওয়া যায়। সেই ট্যাবলেট খেতে পারেন। এ ছাড়াও ত্রিফলা চূর্ণ পাওয়া যায়। এক চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে সেই জল খেতে হবে। সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।