কয়েকটি বিষয় মেনে চললে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে সকাল সকাল দিন শুরু করার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু অনেকে ঘুমোতে যান ভোরের দিকে। ফলে ঘুম ভাঙতে বেলা পেরিয়ে যায়। আবার সময়মতো ঘুমিয়েও সকালে কিছুতেই উঠতে পারেন না অনেকে। অনেক ক্ষণ ঘুমোচ্ছেন মানেই শরীর দারুণ তরতাজা হয়ে উঠছে, এমনও নয়। বরং ঘুম ভাঙতে যত বেলা বাড়ে, আলসেমি তত ঘিরে ধরে। শরীরচর্চা তো দূর, কায়িক পরিশ্রম করতেই ইচ্ছা করে না। তা়ড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা অনেকের পক্ষেই বেশ কঠিন একটা কাজ। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব। সেই সঙ্গে কাঁচা ঘুম ভাঙলে কোনও অস্বস্তি থাকবে না। চনমনে থাকবে শরীর।
১) প্রথমে নিজেকে বুঝতে হবে যে সকালে ওঠা কতটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তা না হলে অ্যালার্মেরও সাধ্যি নেই যে, ঘুম ভাঙায়। কিন্তু সুস্থ থাকতে আবার পর্যাপ্ত ঘুমোনোটাও জরুরি। তাই সকালে উঠবেন, সেটা যদি মনস্থির করে ফেলেন, তা হলে রাতে শুয়েও পড়তে হবে দ্রুত। তবেই আর ঘুমের ঘাটতি থাকবে না।
২) ভোরের দিকে ঘুমোতে যান, বেলা করে ওঠেন— দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস চললে শরীরের উপর তার প্রভাব পড়বে স্বাভাবিক ভাবেই। তবে দীর্ঘায়ু পেতে এই অভ্যাসে ইতি টানতে হবে। ঘুমোনোর বিষয়টা নিয়মমাফিক হওয়া জরুরি। রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং তখন থেকে ৭ ঘণ্টা পর বিছানা ছাড়ার অভ্যাস তৈরি না করলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে।
৩) ঘুম থেকে উঠেই ফোন দেখার অভ্যাস বন্ধ করা জরুরি। চোখ খুলেই প্রথমে ধাতস্থ হয়ে নিন। তার পর পরিষ্কার হয়ে কিছু ক্ষণ শরীরচর্চায় মন দিন। তার পরে ফোন দেখতে পারেন। তবে ফোনে ডুবে গেলে চলবে না। কারণ বেশি ক্ষণ খালিপেটে থাকা যাবে না। তাই দ্রুত সকালের খাবারও খেয়ে নিতে হবে।
৪) সারা দিন তরতাজা এবং চাঙ্গা রাখতে শুধু শরীরচর্চা করলে হবে না। করতে হবে ধ্যানও। যোগাসন আর ধ্যান হল ফিটনেসের আতুঁড়ঘর। তাই ভারী শরীরচর্চায় যদি মন না-ও বসে, যোগাসন আর মেডিটেশন করে নিতে পারেন। উপকার পাবেন। তবে সবশেষে যদি কফির কাপে চুমুক বসাতে পারেন, তা হলে সারা দিন দারুণ চনমনে কাটবে।