ওজন ঝরাতে চান? চিনি খাওয়া ছাড়ুন ধাপে ধাপে।
অনিয়মিত জীবনযাপনের বহু মানুষ ডায়াবিটিসের কবলে পড়েন। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বাড়ে সংক্রমণের আশঙ্কা। অন্য রোগও বাসা বাঁধতে শুরু করে অজান্তেই। প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রে, কিডনিতে, যকৃতে।
এক বার এই রোগে আক্রান্ত হলে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। চিনি খেলেই যে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হবেন, এমন কোনও মানে নেই। তবে, এক বার এই রোগ শরীরে হানা দিলে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ না রাখলেই বিপদ। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস, কাজের ফাঁকে ঘন ঘন চিনি যুক্ত চা-কফি পানের অভ্যাস আপনার অজান্তেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, দিনে পাঁচ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। কারণ চিনি কম খেলেই সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা সম্ভব। মিষ্টি বেশি খেলে বাড়বে ওজন। সে ক্ষেত্রে কো-মর্বিডিটি তৈরি হবে। চেষ্টা করেও মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম টানতে পারছেন না?
কাজটা মোটেও সহজ নয়। কারণ চা, পান, সিগারেট বা মদের মতো চিনিরও প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। একটা চাহিদা তৈরি হয়। অর্থাৎ দীর্ঘ ক্ষণ না খেলে আরও বেশি করে খেতে ইচ্ছে করে চিনি।
কী ভাবে রোজের ডায়েট থেকে চিনি বাদ দেবেন?
১) চা ও কফিতে চিনি এবং ক্রিম-সহ দুধ মেশানো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন। ভেষজ চা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২) রান্নায় চিনি দেওয়া বন্ধ করুন। চিনির পরিবর্তে গুড় দিলেও চলবে না।
৩) প্যাকেটজাত ফলের রসের পরিবর্তে বাড়িতে ফলের রস বানিয়ে খান। খুব ভাল হয় যদি গোটা ফল খেতে পারেন।
৪) ব্রাউন সুগার, চিনির বিকল্প কৃত্রিম মিষ্টি, কর্ন সিরাপ, ম্যাপেল সিরাপ, মধু, গুঁড়ো দুধ— সবেতেই চিনি থাকে। তাই এ সব খাবার বন্ধ করুন।
৫) বাজার থেকে সস্ কেনার সময়ে খেয়াল করুন যাতে তাতে অতিরিক্ত চিনি না থাকে।
৬) ডায়েটে বেশি করে প্রোটিনজাতীয় খাবার রাখুন। প্রোটিন খেলে ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছে কম হয়।
৭) খুব বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর, কিশমিশ অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।