গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। প্রতীকী ছবি।
মাঝেমাঝেই পেটের ব্যথায় অনেকেই ভুগে থাকেন। তবে সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকেই এই মাথা ঘামান না। ওষুধ খেয়ে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, স্থায়ী কোনও উপকার পাওয়া যায় না। ওষুধের প্রভাব কাটলে আবার ব্যথা ফিরে আসে। কিন্তু এ ব্যথা গ্যাস্ট্রিক আলসারের নয় তো? এই রোগটিই একটা সময়ে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। হতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও। গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বুঝবেন কী ভাবে যে, ধীরে ধীরে আপনার শরীরে আলসার বাসা বাঁধতে শুরু করেছে? এই রোগটির সঙ্গে কমবেশি প্রায় সকলেই পরিচিত। কিন্তু লক্ষণগুলি জানা থাকলে চিকিৎসা শুরু করতে সুবিধা হয়।
১) গ্যাসট্রিক আলসারের ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার দু’-তিন ঘণ্টা পর পেটে ব্যথা বাড়ে। খাবার খাওয়ার পর যদি এমনটা প্রায়ই ঘটে, তা হলে তা আলসারের লক্ষণ হতে পারে।
২) খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পেটে ব্যথা বাড়লেও আপনার আলসার হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময়ে দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকলে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এই লক্ষণগুলি দেখলে এড়িয়ে যাবেন না।
৩) বুক জ্বালা করলে অনেক ক্ষেত্রেই অম্বলের সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। ঘন ঘন এমনটা হলে কিন্তু তা আলসারের লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৪) সারা ক্ষণ গা গোলানো, বমি-বমি ভাবের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই আলসার হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নিন। সাধারণত আলসার হলেও এই উপসর্গগুলি দেখা দেয়। তাই ফেলে রাখবেন না।
৫)পরিপাকতন্ত্রের আলসার কিন্তু প্রাণঘাতী হতে পারে। এই রোগের কারণে খাদ্যনালিতে রক্তক্ষরণও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বমি কিংবা মলের সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসে। চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখলে এই আলসার থেকে সহজে মুক্তি মেলে না। এবং বেশি বাড়াবাড়ি হলে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
৬) অনেকেরই ধারণা, ঝাল, তেল, মশলাদার খাবার খেলেই আলসার হতে পারে। এই ধারণা কিন্তু ভুল। ঝাল বা মশলাদার খাবার আলসারের জন্য দায়ী নয়। তবে এই খাবার রোগের তীব্রতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস পরিপাকতন্ত্রে আলসারের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের চাপে আমরা খেতেও ভুলে যাই। দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকলেও আলসারের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথা উপশম করার ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন।