কোন ডালে কতটা প্রোটিন থাকে? ছবি: সংগৃহীত।
ডাল প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস। শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য যতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন, তার অনেকটাই পূরণ হয় ডাল খেলে। তবে, অনেকেরই ধারণা, মুসুর ডালে যে পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে, তা অন্য কোনও ডালে নেই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ধারণা ভ্রান্ত। সব ধরনের ডালে প্রোটিনের পরিমাণ কমবেশি একই রকম। এ ছাড়াও, ডালের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ, ফাইবার, ভিটামিনও।
বেশির ভাগ বাঙালি বাড়িতে প্রতি দিন ভাতের সঙ্গে থাকে মুগ কিংবা মুসুর ডাল। লুচি হলে আবার মানানসই ছোলার ডাল। আর বিশেষ কোনও দিনে মাঝেমধ্যে মটর, বিউলি কিংবা অড়হর ডাল রান্না হয়। কিন্তু কোন ডালে কেমন প্রোটিন, তা জানা আছে কি?
১) ছোলার ডাল
লুচির সঙ্গে নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল না থাকলে পুরো বিষয়টা যেন জমে না। ময়দা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। কিন্তু ছোলার ডাল? ১০০ গ্রাম ছোলার ডালে রয়েছে ২২ গ্রামের মতো প্রোটিন। প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি ফাইবার, আয়রন এবং ভিটামিন বি-এর অভাবও পূরণ করে ছোলা। প্রাণিজ প্রোটিনের পরিপূরক হিসাবে ছোলার ডাল খাওয়াই যায়।
২) অড়হর ডাল
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ১০০ গ্রাম সেদ্ধ অড়হর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ ২২ গ্রাম। প্রোটিন তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই ডাল যেমন হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভাল, তেমনই উপকারী ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য। যাঁদের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁরাও নিয়মিত অড়হর ডাল খেতে পারেন।
৩) বিউলির ডাল
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে হামেশাই আলুপোস্তের সঙ্গে বিউলি ডাল খাচ্ছেন। কিন্তু প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে কি? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই। মুগ কিংবা মুসুরের মতোই বিউলির ডালেও যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। ১০০ গ্রাম সেদ্ধ বিউলির ডালে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ২৫ গ্রাম। প্রোটিনের পাশাপাশি এই ডালে রয়েছে ফাইবার ও আয়রন এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ।
৪) মুগ ডাল
মুগ ডাল কোলেসিস্টোকাইনিন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফলে ‘বিএমআর’ বা মৌল বিপাকহার ভাল হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম মুগ ডালে প্রোটিনের পরিমাণ ২৪ গ্রাম। পাশাপাশি, মুগ ডালে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, কপার ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
৫) মুসুর ডাল
যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন ও ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। প্রতি ১০০ গ্রাম মুসুর ডালে প্রায় ২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি, মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফাইবার। ফলে এই ডাল পেটের গোলযোগ ও হাড়ের সমস্যায় কাজে আসতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রাও বেশ ভাল মুসুর ডালে।