Cholesterol

Tips for lowering Cholesterol: উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা চিন্তায় ফেলেছে? সুস্থ থাকতে কোন কোন কাজ না করলেই নয়

কোলেস্টেরল বাড়লে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এখনই জীবনধারায় কিছু বদল আনতে হবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২২ ১১:৫৯
শরীরে কোলেস্টেরলের চোখরাঙানি বাড়লে জীবনধারায় কিছু বদল আনতেই হবে।

শরীরে কোলেস্টেরলের চোখরাঙানি বাড়লে জীবনধারায় কিছু বদল আনতেই হবে। ছবি: সংগৃহীত

কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অনেকের ধারণা চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে জমা হতে থাকে। রক্তবাহগুলিকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। তাই রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শরীরে কোলেস্টেরলের চোখরাঙানি বাড়লে জীবনধারায় কিছু বদল আনতেই হবে। জেনে নিন সেগুলি কী কী?

ভিটামিন ই-যুক্ত খাবার

Advertisement

এই ভিটামিনে টোকোট্রাইনল নামক উপাদান থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। রোজের খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম, কুমড়ো, ক্যাপসিকাম, পালংশাক রাখুন।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

চিকিৎসকদের মতে, লাল ও প্রক্রিয়াজাত মাংস কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য দায়ী। বেশি তেলমশলা ও ঘি সমৃদ্ধ খাবারও বাড়িয়ে দিতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। অপর দিকে কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে পারে ওটস, কাঠবাদাম। খাওয়া যেতে পারে মাছও। তবে সব কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবারই খারাপ নয়। যেমন ডিমে কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দ্রবণীয় ফাইবার

ওটস কিংবা ঢেঁকি ছাটা চালের মতো দানা শস্য কাজে আসতে পারে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ সময় পেটে থাকে, ফলে ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। অতিরিক্ত ওজনও কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ‘বডি মাস ইনডেক্স’ যদি ৩০ বা তার বেশি হয়ে যায়, তবে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ

ধূমপান কেবল ফুসফুসের ক্ষতি করে না, বাড়িয়ে দেয় ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও। নিয়মিত মদ্যপান করলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায় । বিশেষ করে অগ্ন্যাশয় ও লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি খুবই ঝুঁকি সাপেক্ষ বিষয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে উচ্চ ট্রাইগ্লিসারইড অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের আশঙ্কা।

নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস

নিয়মিত শরীরচর্চা কমাতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। পাশাপাশি, শরীরচর্চা করলে নিয়ন্ত্রণে থাকে স্থূলতাও। শরীরচর্চা বলতে কিন্তু শুধু জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে এমনটা নয়। যোগাভ্যাস, নিয়মিত হাঁটা, সাইকেল চালানো ও সাঁতারের মতো অভ্যাসও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আরও পড়ুন
Advertisement