ডায়াবিটিস মানেই জীবনে হাজার রকমের বিধি-নিষেধ। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস মানেই জীবনে হাজার রকমের বিধি-নিষেধ। জীবন থেকে অনেক কিছু এক নিমেষে বাদ চলে যায়। বর্তমানে মানুষ যে ধরনের জীবনযাপনে, অভ্যস্ত তাতে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঘরে ঘরে এখন ডায়াবিটিসের রোগী।
দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়া, ঘুম কম হওয়া, অবসাদ, উদ্বেগজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন মানুষ। এ ছাড়াও জিনগত কারণেও শরীরে বাসা বাঁধে এই রোগ। এ ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করতে থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের খাবার নিয়ে খুব বেশি সতর্ক থাকতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। দুপুর কিংবা রাতের খাবার নিয়ে তত সমস্যা না হলেও সকালে কী খাওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন ডায়াবেটিকরা। এ ক্ষেত্রে ৩টি স্মুদি দিয়ে হতে পারে মুশকিল আসান, যা খেলে পেট ভরবে অথচ রক্তের শর্করার মাত্রাও বাড়বে না।
পিনাট বাটার-ওট্স স্মুদি: ডায়াবেটিকদের জন্য সকালে বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকা মোটেই কাম্য নয়, এতে রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সকালে হাতে সময় কম থাকলে বানিয়ে ফেলতে পারেন পিনাট বাটার-ওট্সের স্মুদি। ওট্স, বিনাট বাটার, গ্রিক ইওগার্ট কিংবা সয়া দুধ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন স্মুদি। এই স্মুদিতে ভুলেও কলা দেবেন না। কলা দিলে স্মুদির স্বাদ বাড়লেও এতে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
লো-কার্ব গ্রিন স্মুদি: ডায়েবিটিসের রোগীর ডায়েটে বেশি করে সবুজ শাক-সব্জি রাখার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। তবে অনেকেই স্যালাড খেতে পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে পালং শাক, অ্যাভোকাডো, প্রোটিন পাউডার, আমন্ড দুধ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন গ্রিন স্মুদি। প্রাতরাশে এই স্মুদি রাখতে পেটও ভরবে আর রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
পিচ স্মুদি: পিচ ফল, সয়া মিল্ক, চিয়া বীজ আর সামান্য মাত্রায় দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন স্মুদি। তবে এ ক্ষেত্রে পিচ ফলের খোসা ছাড়িয়ে ফেলবেন না। দুধের বদলে গ্রিক ইউগার্টও ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটি হতে হবে চিনি ছাড়া। সকাল কিংবা বিকেলের দিকে হালকা খিদে পেলে এই স্মুদি বানিয়ে ফেলতে পারেন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।