ঘুমের ঘাটতি থাকলে শরীরের অন্দরে নানারকম অসুখ জন্ম নেয়। ছবি: সংগৃহীত
দৈনন্দিন জীবনযাপন ও কাজের ব্যস্ততায় ঘুমের চক্র বদলে যাচ্ছে। অথচ শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম ওষুধ হল পর্যাপ্ত ঘুম। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত হয়ে ওঠে। সংক্রমণ ঠেকায়। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রোজ অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের ঘাটতি থাকলে শরীরের অন্দরে নানা রকম অসুখ জন্ম নেয়। আর ঘুম ভাল হলে কাজেরও গতি থাকে। শরীর চাঙ্গা থাকে। কিন্ত বিভিন্ন কারণে ঘুম ঠিক করে হয় না। কাজ, ব্যস্ততা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে অনেকেরই ঘুম না আসার সমস্যা আছে। তবে ভাল ঘুম হওয়ার কয়েকটি টোটকা রয়েছে। সেগুলি কাজে লাগালে দরকার পড়বে না ঘুমের ওষুধের।
প্রতি দিন একই সময়ে ঘুমোন
রোজ ঘুমের সময় নির্দিষ্ট রাখতে হবে। এক দিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লেন, অন্য দিন নেটফ্লিক্সে সারা রাত সিরিজ় দেখে ভোরে ঘুমোতে গেলেন। এমন অভ্যাসে ব্যাহত হবে ঘুমের চক্র। প্রভাব পড়বে শরীরের উপর। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকা প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এই সময়টি ৭-৮ ঘণ্টা। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার সময়ের এ দিক-ও দিকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে। ওজন বেড়ে যাতে পারে। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতি দিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোন।
নিমজলে স্নান
নিম শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। নানারকম ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার। নিমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহনাশক হিসাবে কাজ করে। শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকলে ঘুমও ভাল হবে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ নিমজলে স্নান করুন। উপকার পাবেন।
পায়ের পাতায় ঘি মালিশ করুন
রান্না সুস্বাদু করতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও ভরসা রাখতে পারেন ঘিয়ের উপর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের পাতায় ঘি মালিশ করলে ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে ঘুম গাঢ় হবে। ঘি রক্ত চলাচল সচল রাখে। আর রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকলে ঘুমও ভাল হবে।