ওজন কমাতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। প্রতীকী ছবি।
ডায়েট— ওজন কমিয়ে যাঁরা রোগা হতে চাইছেন, তাঁদের জন্য এই শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী খাচ্ছেন, কেন খাচ্ছেন— রোগা হওয়ার পর্বে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করাটা জরুরি। নয়তো অযথা সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়। ডায়েট করা মানেই উপোস করে থাকা নয়। নিয়ম মেনে করতে হবে খাওয়াদাওয়া। রোজের পাতে রাখতে হবে সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কঠোর নিয়ম মেনেও কমছে না ওজন। আসলে এমন ক্ষেত্রে গলদ থেকে যায় খাওয়াদাওয়ায়। আপনার হয়তো মনে হচ্ছে নিয়ম মেনেই খাওয়াদাওয়া করছেন। কিন্তু আপনার ধারণা সব সময় সত্যি না-ও হতে পারে। খাওয়াদাওয়ায় গলদ থাকলে চেষ্টা করেও কমতে চায় না ওজন। সব কিছুর পদ্ধতিগত কিছু নিয়ম থাকে। সেগুলি সঠিক ভাবে মেনে চলা প্রয়োজন।খাওয়াদাওয়ার কোন ভুলে চেষ্টা করেও ওজন না কমার আশঙ্কা থেকে যায়?
অত্যধিক পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
ওজন কমাতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। রোগা হতে চাইলে উপোস করে না থেকে বরং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে জোর দেওয়া প্রয়োজন। তবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী। মাত্রাতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। তিন বেলা যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে থাকেন তাহলে কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হবে না। কোন সময় কোনগুলি খাবেন তার একটি রুটিন বানিয়ে নিন। পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নিতে পারেন কোন খাবারগুলি বেশি উপকারী। সেগুলি বেশি করে খান।
পর্যাপ্ত প্রোটিন না খাওয়া
প্রোটিন শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু অনেকেরই ধারণা— প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে। এই ভাবনা ঠিক নয় বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। প্রোটিনের ঘাটতি ওজন উল্টে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত প্রোটিনও খাওয়া প্রয়োজন।
রান্নায় বেশি তেলের ব্যবহার
ওজন কমাতে চাইছেন অথচ রান্না করার সময় কড়াইয়ে বেশি তেল ঢালছেন— এমন করলে কি আদৌ রোগা হওয়া সম্ভব? পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমানোর প্রথম মানদণ্ড হল তেল-মশলা কম খাওয়া। এই বিষয় সবচেয়ে প্রথমে রাশ টানা প্রয়োজন। সব্জি রান্না করছেন কিন্তু তাতে তেলের পরিমাণ বেশি— এমন করা যাবে না। দরকার হলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।