কোন পানীয়ে জব্দ হবে কোলেস্টেরল? ছবি: সংগৃহীত।
বয়সের সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির কোনও রকম সম্পর্ক নেই। অল্পবয়সিদের শরীরেও হানা দিচ্ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। রাতজাগার অভ্যাস থেকে দিনের পর দিন বাইরের খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরের অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা— সব মিলিয়ে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে বাধ্য। কোলেস্টেরল থেকে যত দিন দূরে থাকা যায়, ততই ভাল। কারণ কোলেস্টেরল এক বার ধরা পড়লে সহজে তা কমানো মুশকিল। এর হাত ধরে শরীরে হানা দেয় হৃদ্রোগও। কোলেস্টেরল বাড়লে অনেক কিছুই খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে কয়েকটি পানীয় রয়েছে, যেগুলি নিয়ম করে খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ।
ওট্স-বেরির স্মুদি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবার। কম ফ্যাট যুক্ত দুধের সঙ্গে ওট্স আর বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি ফেলত্ পারেন স্মুদি। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে সকালের জলখাবারে এই স্মুদি রাখতেই পারেন। ওট্সও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করতেও গ্রিন টি অত্যন্ত উপকারী। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটাচিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রোজ গ্রিন টি খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গবেষণা।
কমলালেবুর রস
শীতে বাজার জুড়ে কমলালেবুর ছড়াছড়ি। কমলালেবুর রস খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। প্রতি দিন নিয়ম করে কমলালেবুর রস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কমলালেবু শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। উপরের উল্লেখিত কোনও কিছুই কোনও ভাবে ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প নয়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খান।