Nigella Seeds Tea Benefits

মাথাধরা থেকে চুল পড়া, নিয়ন্ত্রণে রাখে কালোজিরে! ফোড়ন দিলেই চলবে, না কি অন্য ভাবে খেতে হবে?

ঠান্ডা লেগে হঠাৎ নাক দিয়ে জলের স্রোতের মতো সর্দিধারা নামতে থাকলে, কালোজিরের ঘ্রাণ দারুণ কাজ দেয়। চুল পড়া রুখতে নারকেল তেলে কালোজিরে ফুটিয়ে সেই তেলও মাখেন অনেকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:১৯

ছবি: সংগৃহীত।

কালোজিরে সাধারণত রান্নায় ফোড়ন হিসাবেই ব্যবহার করা হয়। ঠান্ডা লেগে হঠাৎ নাক দিয়ে জলের স্রোতের মতো সর্দিধারা নামতে থাকলে, কালোজিরের ঘ্রাণ দারুণ কাজ দেয়। চুল পড়া রুখতে নারকেল তেলে কালোজিরে ফুটিয়ে সেই তেলও মাখেন অনেকে। ছোট্ট, অতি ক্ষুদ্রকায় একটি মশলার কিন্তু আরও অনেক গুণ রয়েছে, তা কী জানেন? রান্নায় ফোড়ন হিসাবে কালোজিরে ব্যবহার করলেই চলবে না কি অন্য ভাবে খেতে হবে?

Advertisement

১) কালোজিরে দিয়ে তৈরি চায়ে চুমুক দিলে মাথাধরা কিংবা মাথা ব্যথার কষ্ট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে কপালে কালোজিরের তেল মাখেন অনেকে। তাতেও কাজ হয়।

২) কালোজিরের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। হজমশক্তি জোরদার করতে এই পানীয়ে চুমুক দেওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও কালোজিরের চা ভাল।

৩) মরসুম বদলের সময়ে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হতে পারে। যাঁদের ‘সিওপিডি’র সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।

৪) শীত পড়ার সময়ে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে মাথার ত্বকের অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়। নখ দিয়ে বার বার চুলকালে ‘হেয়ার ফলিকল’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। কালোজিরে দিয়ে তৈরি চা এই ধরনের সমস্যা বশে রাখে।

৫) বিভিন্ন গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কালোজিরে। সকালে খালি পেটে অনেকেই তো ঈষদুষ্ণ জলে মধু, লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। তার সঙ্গে অল্প কয়েকটা কালোজিরে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাতেই কাজ হবে।

কালোজিরে খাবেন কী ভাবে?

রান্নায় কালোজিরে সাধারণত ফোড়ন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তবে জলে এই মশলা ফুটিয়ে, ছেঁকে নিয়ে চায়ের মতো খেলে বেশি উপকার মিলবে।

Advertisement
আরও পড়ুন