দুধ না খেলেও ভাল থাকবে হাড়। ছবি: সংগৃহীত
মাঝেমাঝেই কোমর বা পিঠে যন্ত্রণার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকে। শোয়ার ভঙ্গির কারণেই এমনটা হতে পারে ভেবে অনেকেই তা এড়িয়ে যান। বেশ কিছু দিন ধরে এমন হতে থাকলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। হাড়ের দুর্বলতা হতে পারে এই ধরনের ব্যথার কারণ। একটা বয়সের পর থেকে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব ও শক্তি কমে যায়। কিন্তু এই সমস্যা তাঁদের বেশি হয়, যাঁদের কম বয়স থেকেই হাড়ের শক্তি ও ঘনত্ব অনেক কম থাকে।
অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি কমাতে অল্প বয়স থেকেই হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। হাড় শক্তিশালী ও মজবুত রাখতে ক্যালশিয়াম একটি অপরিহার্য উপাদান। দুধ ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ। চিকিৎসকরাও হাড় ও পেশি মজবুত রাখতে দুধ খাওয়ার কথা বলে থাকেন। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’। দুধ খেলে শারীরিক সমস্যা হয়, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তা হলে উপায়? হাড়ের যত্ন নিতে দুধের বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন অন্য তিনটি পানীয়। সেগুলি কী কী?
১) আঙুরের রস
শরীর ভাল রাখতে আঙুর বেশ উপকারী একটি ফল। হাড়ের যত্ন নিতেও অপরিহার্য আঙুর। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আঙুর হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও হ্রাস করে আঙুর। হাড় ভাল রাখতে গোটা আঙুর খাওয়ার পাশাপাশি আঙুরের রস তৈরি করেও খেতে পারেন। এতে বাড়তি উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২) সয়া দুধ
হাড় সুস্থ রাখতে ও মজবুত করতে সয়া দুধ বেশ উপকারী। ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ সয়া দুধ হাড়ের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করে। তা ছাড়া দুধের বিকল্প হিসাবেও সয়া দুধ খেতে পারেন অনায়াসে।
৩) স্মুদি
ফল বা বিভিন্ন সবুজ, সতেজ সব্জি দিয়ে তৈরি স্মুদি শরীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি হাড় ভাল রাখতেও অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন কে, সি, ডি, বি১২, ফাইবার আছে, এমন ফল কিংবা সব্জি দিয়ে মনের মতো করে স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন। দুধ খেতে না চাইলে তার পরিবর্তে এমন স্বাস্থ্যকর স্মুদি খাওয়ার অভ্যাস বয়সকালেও হাড়ের যত্ন থাকবে।