uric acid

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে গাঁটে গাঁটে ব্যথা? ৫ খাবার খেলেই স্বস্তি মিলবে দ্রুত

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে খেয়াল রাখতে হবে, ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড হলে কী খাওয়া বারণ, তা প্রায় সকলেই জানেন। কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড বশে থাকবে, জানেন কি?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৩ ১২:১২
Symbolic Image.

ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে সাবধানে থাকা জরুরি। ছবি:সংগৃহীত।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই পায়ের পাতায় অসহ্য যন্ত্রণা কিংবা হাতের আঙুল ভাঁজ করতে না পারা, হাত বা পায়ের অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে থাকা মূলে রয়েছে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই খাওয়ার তালিকা থেকে টোম্যাটো, ঢ্যাঁড়শ, মুসুর ডাল বাদ দিয়ে দেন অনেকে। পুষ্টিবিদদের মতে, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে খেয়াল রাখতে হবে ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কী কী খাওয়া বারণ, তা প্রায় সকলেই জানেন। কিন্তু কোন কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা কি জানেন?

Advertisement

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ডায়েটে কী কী রাখলে দ্রুত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে?

১) ফাইবারযুক্ত খাবার: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। কুমড়ো, ব্রকোলি, ওট্‌স বা দানাশস্য— সবেতেই ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই সব খাবারে থাকা ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।

২) উদ্ভিজ্জ প্রোটিন: শরীর সুস্থ রাখতে প্রতি দিন খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। এ দিকে, প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদই ভরসা। শাকসব্জি খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম দানাশস্য, ডাল, মাশরুম খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন।

symbolic image.

ইউরিক অ্যাসিড হলে খাওয়াদাওয়ায় বদল আনা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।

৩) লো ফ্যাট দুধ: খেতে ভাল লাগলেও ‘ফুল ফ্যাট’ কিংবা ‘ফুল ক্রিম’ দুধ অথবা দুধের তৈরি কোনও জিনিস খাওয়া যাবে না। বদলে প্রতি দিন ‘ডবল টোনড’ বা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেতে পারেন। বানাতে পারেন ঘোল, পনিরও।

৪) ভিটামিন সি: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন সি, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। শুধু লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফল নয়, চেরি, স্ট্রবেরি বা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন সি থাকে। তাই প্রতি দিন সামান্য হলেও টক ফল খাওয়া উচিত।

৫) ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ফ্ল্যাক্স সিড, আখরোট, তেলযুক্ত মাছ যেমন আর, বোয়াল বেশি করে ডায়েটে রাখতে হবে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন
Advertisement