হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে দাঁত এবং মুখের ভিতরে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উপর হৃদ্রোগের ঝুঁকির কতটা তা নির্ভর করে। সঠিক পরিচর্যার অভাবে মুখের ভিতরে অনেক সময়ে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয়। যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। প্রদাহের কারণে স্বাভাবিক হৃদ্স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পরে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মুখ গহ্বরের জীবাণু শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে দাঁত এবং মুখের ভিতরে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
দাঁত ও মুখের ভিতরের বিশেষ যত্ন নেবেন কী ভাবে?
১) নিয়মিত দাঁত মাজুন। দাঁত মাজার জন্য বেশি পরিষ্কার হবে ভেবে অনেকেই শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। এতে দাঁতের এনামেল দ্রুত ক্ষয়ে যায়। নরম ব্রাশ দিয়ে মাজলেই দাঁত যত্নে থাকে। দিনে দু’বার দাঁত মাজা জরুরি। প্রতি ৩ মাস অন্তর ব্রাশ বদলে ফেলাই ভাল।
২) দাঁত মাজার পরেও অনেক সময় দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে খাবারের টুকরো। দাঁত পুরোপুরি পরিষ্কার রাখতে দাঁত মাজার পর মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করে নিন।
৩) দাঁত ভাল রাখতে চিনি যুক্ত মিষ্টি খাবার, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় , বেশি গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪) শুধু হৃদ্যন্ত্র নয়, দাঁত ভাল রাখতেও ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।
৫) দৈনন্দিন অভ্যাসে বদল আনার পাশাপাশি মাঝেমাঝেই মুখের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। অল্প দাঁতে ব্যথা কমাতেই অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে নেন। এই অভ্যাস শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দাঁতের যেকোনও সমস্যা দেখা দিলেই প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।