Sleeping Disorder

ওষুধ না খেলে দু’চোখে ঘুম আসে না? রোজ এই ধরনের দাওয়াই খাওয়ার পরিণতি কতটা মারাত্মক হতে পারে?

ঘুমোনোর জন্য অনেকেরই চড়া মাত্রার ওষুধের দরকার হয়। তবে ওষুধের ডোজ কম হোক কিংবা বেশি, নিয়মিত খাওয়ার ফলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৫৬
ওষুধ ছাড়াই ঘুম আসুক।

ওষুধ ছাড়াই ঘুম আসুক। ছবি: সংগৃহীত।

রাত নামলেও দু’চোখে ঘুম নামতে চায় না অনেকেরই। রাতভর সঙ্গী হয় অনিদ্রা। বিছানার এ পাশ-ও পাশ করেই কেটে যায় গোটা রাত। একটানা জেগে থাকার ক্লান্তি অসহনীয় হয়ে ওঠে। তাই দু’দণ্ড শান্তির খোঁজে অনেকেই সহজতম রাস্তাটি বেছে নেন। ঘুমের ওষুধ আপন হয়ে ওঠে। ওষুধ খেলে সহজে ঘুম চলে আসে। কিন্তু সেটা প্রথম প্রথম। কয়েক বছর পর এই ওষুধ আবার ভাল ভাবে কাজ করে না। তখন চড়া মাত্রার ওষুধের দরকার হয়। তবে ওষুধের ডোজ় কম হোক কিংবা বেশি, নিয়মিত খাওয়ার ফলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়।

Advertisement

১) সম্প্রতি ‘আমেরিকান মেডিক্যাল জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, রোজ ঘুমের ওষুধ খেলে আয়ু কমতে পারে। কারণ সার্বিক ভাবে গোটা শরীরের উপরেই এই ওষুধের প্রভাব পড়ে। তাতে সব অঙ্গেরই অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়। অঙ্গের কার্যকলাপও কমতে থাকে, ফলে আয়ু কমতে থাকে।

২) নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেলে অবসাদের সমস্যাও বাড়তে পারে। যাঁদের ইতিমধ্যেই এই সমস্যা রয়েছে, তাঁরা যদি রোজ ঘুমের ওষুধ খান, তা হলে সেই সব হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যেগুলি অবসাদের জন্য দায়ী।

৩) এমনটিও দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খান, তাঁদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে এই ওষুধের প্রভাব পড়ে। ফলে আচরণ বদলে যেতে পারে। এমনকি কমে যেতে পারে বুদ্ধিও। স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকিও থাকে ঘুমের ওষুধ খেলে।

৪) নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেলে সার্বিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। তা ছাড়া মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয় যে হরমোন, সেগুলিরও ক্ষরণও বাড়ে। তাতে ক্যানসারের মতো অসুখের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন
Advertisement