মনে থাকছে না মানেই, ভুলে যাওয়া নয়। ছবি: সংগৃহীত।
ভুলে যাওয়ার সমস্যা মূলত বার্ধক্যের। বয়স বাড়লে স্মৃতি অনেক সময়ে সঙ্গ দেয় না। অতি সাধারণ কথাও মনে থাকে না। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের খেয়াল করলেই তা বোঝা যাবে। আর ভুলে যাওয়া রোগ যখন মারাত্মক হয়ে ওঠার নাম ‘ডিমেনশিয়া’। যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত সেরে ওঠার চেয়েও প্রতিরোধ করা ভাল। তবে সাধারণ জ্বর-সর্দি বা পেট ব্যথা হলেও বাইরে থেকে তা আটকানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। কিন্তু ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ক্ষেত্রে বিষয়টি ততটাও সহজ নয়। ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের ক্ষেত্রে কী ভাবে আগে থেকে তা বোঝা সম্ভব?
দৈনন্দিন যাপনে ভুলে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু এটা যদি ধারাবাবিক ভাবে ঘটতে থাকে, তখনই স্মৃতিভ্রম বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। অ্যালঝাইমার্স-এর মতো দুরারোগ্য ব্যাধিও এক ধরনের ডিমেনশিয়া। তবে এই রোগের নেপথ্যে কোন কারণগুলি আছে, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কিন্তু ভুলে যাচ্ছেন মানেই যে আপনি ডিমেনশিয়া আক্রান্ত, সেটা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। কিছু উপসর্গ আছে, যার সঙ্গে ডিমেনশিয়ার লক্ষণের মিল আছে। কিন্তু কোন উপসর্গগুলি দেখে অনেকে ডিমেনশিয়ার লক্ষণ হিসাবে ভুল করেন?
১) ডিমেনশিয়া থাকলে সংখ্যাজনিত সমস্যা দেখা দেয়। বড় বড় ধাঁধা কিংবা বেশি টাকার অঙ্কের হিসেব করা তাদের পক্ষে একটু সমস্যাজনক হয়ে যায়। আপনারও ধরুন টাকা গুনতে গিয়ে ভুল হয়ে যায়। একটা বয়সের পর এ রকম হতেই পারে। তাই বলে সেটা ডিমেনশিয়া ভেবে নেওয়ার কারণ নেই।
২) ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা প্রায়শই কথা বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন, কী বলছেন ভুলে যান। এই সমস্যা সাধারণ মানুষেরও হতে পারে। কখনও কোনও কথা বলতে গিয়ে যদি ঠিকঠাক শব্দবন্ধ মনে না পড়ে বা খেই হারিয়ে যায়, তার মানেই ডিমেনশিয়া নয়। তবে প্রায়শই হতে থাকলে সেটা অন্য প্রসঙ্গ।
৩) দিন ভুলে যাচ্ছেন মানে আপনার ডিমেনশিয়া হয়েছে ভেবে নিয়েছেন? এটা অনেক দিন কোনও কর্ম বিরতিতে থাকলেও হতে পারে। আমাদেরও প্রায়শই দিন-তারিখ মাথায় থাকে না, শেষে মোবাইল বা ক্যালেন্ডারের সাহায্য নিতে হয়। ডিমেনশিয়াতেও এই সমস্যা হয়, তবে এতটাই বড় আকারে যে তাঁরা বছরের কোনও দিন-ক্ষণই ঠিক করে মনে রাখতে পারেন।
প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ভুলে যাওয়া এবং স্মৃতি-সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।