ছবি: সংগৃহীত।
চায়ের কাপে তুফান না তুললে বাঙালির আড্ডা জমে না। বেশি চিনি আর দুধ দেওয়া চায়ে চুমুক বসালে যেন প্রাণ জুড়োয়। তবে স্বাস্থ্যসচেতন বাঙালির ইদানীং অবশ্য পছন্দ বদলেছে। ছিপছিপে চেহারা আর গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি পেতে ভেষজ চায়ে মন দিয়েছে। বন্ধুদের মজলিশ হোক কিংবা অফিসে কাজের বিরতিতে, হাতে উঠেছে গ্রিন টি-র কাপ। ক্যাফেতে গিয়ে কফির বদলে অর্ডার হয় ভিন্ন স্বাদের স্বাস্থ্যকর চা। তবে কোনগুলি আসলে শরীরের জন্য উপকারী, সেটা কি জানেন?
পুদিনা চা
বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন? পুদিনা পাতার চা খান। জল গরম করে তাতে কুচি কুচি করে কয়েকটা পুদিনা পাতা কেটে মিনিট ১৫ ঢাকা দিয়ে রাখুন। পাতা কেটে দিলে পুদিনার গন্ধটা পুরোটাই পাবেন। নিশ্বাসের দুর্গন্ধ এড়াতেও খেতে পারেন পুদিনা চা। এই চা খেলে নিমেষেই দূর হয়ে যাবে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, একটানা কাজ করার জন্য মনঃসংযোগ বাড়াতেও সহায়তা করে এই চা।
দারচিনি চা
শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে চান? তা হলে এই পানীয়টি আপনাকে খেতেই হবে। একটি পাত্রে জল গরম করে দারচিনি গুঁড়ো, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। তার পর এই চা ছেঁকে খান। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে বাঁচাতে সহায়তা করে। ঋতুস্রাবের সময় পেটে ব্যথা হলে তা থেকেও আরাম মিলবে এই চা খেলে।
তুলসী চা
ঠান্ডা-গরমের মরসুমে সর্দিকাশি লেগেই থাকে। তবে যদি রোজ এক কাপ করে তুলসী চা খেতে পারেন, তা হলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কিন্তু অনেকটাই কমবে। একটি পাত্রে জল গরম করে তাতে তুলসী পাতা ফুটিয়ে নিন। তার পর মধু ও লেবু মিশিয়ে নিলেই তৈরি তুলসী চা। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত তুলসী চা খান, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।