Hearing Loss

১০০ কোটি যুবক-যুবতী হারিয়ে ফেলতে পারেন শ্রবণশক্তি! মানবজাতি কি বধির হতে চলেছে?

কানের সহনক্ষমতার বেশি মাত্রার শব্দ ঢুকছে কানে। দীর্ঘদিন ধরে এমন ঘটলে পাকাপাকি ভাবে চলে যেতে পারে শ্রবণশক্তি। একটি বিজ্ঞানপত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন গবেষকরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ১২:৩৫
সাতষট্টি কোটি থেকে একশো পঁয়ত্রিশ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর ভাবে শব্দ শোনেন।

সাতষট্টি কোটি থেকে একশো পঁয়ত্রিশ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর ভাবে শব্দ শোনেন। —ফাইল চিত্র

গান শোনা, ফোনে কথা বলা কিংবা ছবি দেখা, রোজকার জীবনের হরেক কাজে সহনক্ষমতার বেশি মাত্রার শব্দ ঢুকছে কানে। দীর্ঘ দিন ধরে এই ঘটনা ঘটলে পাকাপাকি ভাবে চলে যেতে পারে শ্রবণশক্তি। বিজ্ঞানপত্রিকা বিএমজে গ্লোবাল হেলথে প্রকাশিত গবেষণায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন গবেষকরা।

নিয়ম করে বেশি আওয়াজ দিয়ে গান শোনা নিয়ে মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনার গবেষকরা একটি সমীক্ষা চালান। সেই সমীক্ষাটি বলছে, ১২ থেকে ৩৪ বছর বয়সি সাতষট্টি কোটি থেকে একশো পঁয়ত্রিশ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর ভাবে শব্দ শোনেন। আর এই অভ্যাসে বেড়ে যায় শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি।

Advertisement

আমেরিকার চিকিৎসা নিয়ামক সংস্থা ‘ইউএস সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বলছে, ১ সপ্তাহে চল্লিশ ঘণ্টা পঁচাশি ডেসিবেল মাত্রার বেশি শব্দ কানে গেলে ক্ষতি হতে পারে। সমীক্ষাটি বলছে, হেডফোনে গান শোনার সময় অধিকাংশ সময়েই শব্দের তীব্রতার মাত্রা থাকে ১০৫ ডেসিবেল। আর কোনও সঙ্গীতানুষ্ঠানে সেই মাত্রা থাকে ১০৪ ডেসিবেল থেকে ১১২ ডেসিবেলের মধ্যে।

হেডফোনে গান শোনার সময় অধিকাংশ সময়েই শব্দের তীব্রতার মাত্রা থাকে ১০৫ ডেসিবেল।

হেডফোনে গান শোনার সময় অধিকাংশ সময়েই শব্দের তীব্রতার মাত্রা থাকে ১০৫ ডেসিবেল। —ফাইল চিত্র

কী করণীয়?

গবেষকরা বলছেন, খুবই সরল একটি উপায় রয়েছে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার। কোন মাত্রার থেকে বেশি আওয়াজ কানে গেলে শ্রবণশক্তি খারাপ হয়ে যেতে পারে, এখন সেই মর্মে সতর্কবার্তা দেওয়া হয় অধিকাংশ ফোনেই। যখন ফোনের আওয়াজ বাড়ানো হয় তখনই এই ধরনের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। এই বার্তা উপেক্ষা করা উচিত নয়, মত গবেষকদের। যদি কোনও সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে যান, তবে মাইকের বিপরীত দিকে দাঁড়ানো যেতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement