অবসাদ থেকে হতে পারে পেটের গোলমালও, হজমের ওষুধ না খেয়ে উদ্বেগ কমান
পরিংসংখ্যান জানাচ্ছে, বিশ্বের প্রায় ২৭ কোটি মানুষ মানসিক উদ্বেগজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। তাই অবসাদ থেকে দূরে থাকা জরুরি। ঘরোয়া উপায়ে সেটা কী ভাবে সম্ভব?
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৩
সমস্যার উৎস মানসিক হলেও এর প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যের উপরেও। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যস্ততম জীবনে অন্যতম সঙ্গী হল অবসাদ। এটি নিয়ে এখন খোলাখুলি কথা বলার পরিসর তৈরি হয়েছে। কিন্তু তাতে সমাধান মেলেনি। বরং দিনের পর দিন জাঁকিয়ে বসছে মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগ।
সমস্যার উৎস মানসিক হলেও এর প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যের উপরেও। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হজমের গোলমাল, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি ওজন কমে যাওয়ার নেপথ্যেও রয়েছে মনের অসুখ। পরিংসংখ্যান জানাচ্ছে, বিশ্বের প্রায় ২৭ কোটি মানুষ মানসিক উদ্বেগজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। তাই অবসাদ থেকে দূরে থাকা জরুরি। ঘরোয়া উপায়ে সেটা কী ভাবে সম্ভব?
১) অনিদ্রার সমস্যা আর মানসিক অবসাদের মধ্যে একটি চক্রাকার সম্পর্ক রয়েছে। একটি সমস্যা অন্যটিকে ডেকে আনে। ফলে যতই কাজ থাকুক, সেই কাজের ছাপ যেন কোনও মতেই আপনার ঘুমের উপর এসে না পড়ে। এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রত্যহ ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
২) একাধিক গবেষণা বলছে, নিয়মিত শরীরচর্চা শুধু শরীর নয়, ভাল রাখে মনও। করতে পারেন প্রাণায়াম ও যোগাভ্যাসও। এতে হৃদ্যন্ত্রের উপর চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা দু’টিই অনেকটা কমবে।
শুধু শরীর নয়, যত্ন নিন মনেরও। ছবি: সংগৃহীত।
৩) সারা দিনে এমন একটি সময় বার করুন যে সময়টুকু হবে একান্তই আপনার। যে সব কাজ করতে আপনার ভাল লাগে তাই করুন এই সময়ে। বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন। গান শোনা, গান গাওয়া, আবৃত্তি করা বা কিছু ক্ষণের জন্য হেঁটে আসা, বই পড়ার মতো কাজ করুন আপন খেয়ালে। কোনও রকম তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই। এই সময়টা শুধুই আপনার।
