Acidity

চোঁয়া ঢেকুর উঠলেই অ্যান্টাসিড খান? ঘরোয়া উপায়ে চটজলদি সুস্থ হবেন কী ভাবে?

বদহজম, পেট ফাঁপার সমস্যা তো আছেই। সুস্থ হতে অনেকেই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খান। এই ধরনের ওষুধ বেশি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ হবেন কী করে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২১:১২
খাওয়াদাওয়ার পর মুখের ভিতরটা টক টক হয়ে যাওয়া, চোঁয়া ঢেকুর ওঠা— এগুলি খুব সাধারণ লক্ষণ।

খাওয়াদাওয়ার পর মুখের ভিতরটা টক টক হয়ে যাওয়া, চোঁয়া ঢেকুর ওঠা— এগুলি খুব সাধারণ লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত

খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, ক্রমাগত বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, জল না খাওয়া, অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁক গ‍্যাস-অম্বলের কারণ হয়ে উঠছে।খাওয়াদাওয়ার পর মুখের ভিতরটা টক টক হয়ে যাওয়া, চোঁয়া ঢেকুর ওঠা— এগুলি খুব সাধারণ লক্ষণ। অনেকে খুবই পরিচিত এই ধরনের সমস‍্যার সঙ্গে। এ কারণে অনেকে পছন্দের খাবার থেকেও দূরে রাখেন নিজেদের। বদহজম, পেট ফাঁপার সমস্যা তো আছেই, এ সময়ে চটজলদি সুস্থ হতে অনেকেই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খান। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ওষুধ বেশি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে তৎক্ষণাৎ সমস্যা কমিয়ে দিলেও পরবর্তীতে শরীরের অন্দরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

Advertisement
নিয়মিত কিশমিশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।

নিয়মিত কিশমিশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়। ছবি: সংগৃহীত

চোঁয়া ঢেকুড়, বদহজমকে জব্দ করতে অ্যান্টাসিডের বিকল্প আর কী হতে পারে? অনেকেরই জানা নেই, শুধু পায়েস বা পোলাওয়ের স্বাদ বাড়াতে নয়, কিশমিশ কিন্তু পেট ফাঁপার মতো রোজের সমস্যাও দূর করতে পারে। কিশমিশে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল এবং ফাইবার-সহ অনেক পুষ্টির উপাদান রয়েছে। এই পুষ্টিগুণগুলি পেটের সমস্যার চটজলদি সমাধান করে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়। পেট গুড়গুড় করছে বলেই এক মুঠো কিশমিশ খেয়ে নিলেন, এমন কিন্তু নয়। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। পেট ফাঁপা আর চোঁয়া ঢেকুরের সমস্যা কব্জায় রাখতে কী ভাবে খেতে হবে কিশমিশ? প্রতি দিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। এ ছাড়া, এক মুঠো কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সেই জল খেলেও উপকার হয়। শরীরের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ দূর করতে এই জল দারুণ ভাবে উপকারী। রক্ত পরিষ্কার করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। হজম সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তির সমস্যা দূর করতেও ফাইবার-সমৃদ্ধ কিশমিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন
Advertisement