ডাবের জল রক্ত চলাচল প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় নানা রকম বিধিনিষেধ চলে আসে। কী খাবেন, কখন খাবেন, কতটা খাবেন— সবই কড়া নিয়মের মধ্যে বাঁধা পড়ে। যাঁরা চা, কফি খেতে ভালবাসেন, তাঁদের চিনি ছাড়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। গরমে গলা ভেজাতে ফলের রসে চুমুক দেবেন— তারও উপায় নেই। অথচ এত কিছু থেকে নিজেকে বঞ্চিত রেখেও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ থাকতে চায় না। এ দিক থেকে ও দিক হলেই সীমা ছাড়ায় ডায়াবিটিসের মাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। তা হলে কি কিছুই খাওয়া যাবে না? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনেই। চিকিৎসকরা কিন্তু একেবারে অন্য কথা বলছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে ডাবের জল হতে পারে অন্যতম ভরসা। অনেকেই হয়তো জানেন না, ডাবের জল ডায়াবিটিসকে জব্দ করতে সিদ্ধ হস্ত। কী ভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এই পানীয়?
১) হজমের গোলমালে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই ডায়াবিটিস থাকলে অতি অবশ্যই যাতে ঠিক করে হজম হয়, সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ডাবের জল। বিপাকক্রিয়া উন্নত হলে ডায়াবিটিসের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার আশঙ্কা কম।
২) ডাবের জলে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, আয়রনের মতো নানা স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণ। এই উপাদানগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৩) ডায়াবিটিস থাকলে রক্ত চলাচলে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রভাবে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া, পেশিতে ব্যথা, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়। ডাবের জল রক্ত চলাচল প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। রক্তপ্রবাহকে সচল ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়।
৪) ওজন বেড়ে যাওয়া ডায়াবিটিসের অন্যতম লক্ষণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ এবং ওজন— দুই’ই নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাবের জল দারুণ কার্যকর। এই পানীয়ে ক্যালোরি কম থাকে। বায়ো-এনজাইম সমৃদ্ধ ডাবের জল ওজন বাড়তে দেয় না। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে খেতেই পারেন ডাবের জল।
৫) ডাবের জলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমের দিকে। ফলে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই পানীয় একেবারে আদর্শ। ডাবের জল রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও বাড়ায় না।