বেশি জল খাওয়া বিপদের? ছবি: সংগৃহীত।
পর্যাপ্ত জল না খেলে কী কী হতে পারে, তা সকলেই জানেন। কিন্তু জল বেশি খেলেও যে শরীরের ক্ষতি হয়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত জল খাওয়ার কিন্তু খারাপ দিক রয়েছে। বেশি জল খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। এমনকি, প্রয়োজনের অধিক জল খেলে কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকিও থেকে যায়। চিকিৎসা বি়জ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ওয়াটার ইনটক্সিকেশন’। বেশি জল খেলে রক্তে থাকা সোডিয়ামের ঘনত্ব কমে যেতে থাকে। শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কাজের জন্য সোডিয়াম গুরুত্বপূর্ণ।
‘ওয়াটার ইনটক্সিকেশন’ কী?
অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেকটা পরিমাণ জল খেয়ে ফেললে তা আদতে শরীরের ক্ষতি করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘ওয়াটার ইনটক্সিকেশন’ বলা হয়। চলতি কথায় যা ‘হাইপারহাইড্রেশন’ বা ‘ওয়াটার পয়জ়নিং’ নামেও পরিচিত। অতিরিক্ত জল রক্তে থাকা সোডিয়ামের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। ফলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার ফলে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজ ব্যাহত হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত জল খেলে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
কতটা জল খাওয়া শরীরের জন্য নিরাপদ?
কে কী পরিমাণ জল খাবেন, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির ওজন, শারীরিক সক্রিয়তা এবং সামগ্রিক কাজকর্মের উপর। তেমন কোনও শারীরিক জটিলতা না থাকলে সারা দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পর্যন্ত জল খাওয়া যায়। তবে, ঘণ্টায় ১ লিটারের বেশি জল খাওয়া কিন্তু বিপজ্জনক। দিনের বেলা পর্যাপ্ত জল খেলেও বিকেল-সন্ধ্যার পর থেকে অন্যান্য পানীয় খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েও আনতে বলেন পুষ্টিবিদেরা।
বিপদ এড়াতে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) জল খাওয়া ভাল বলেই বোতলের পর বোতল জল খেয়ে যাবেন না। পিপাসা পেলে তবেই জল খান।
২) প্রস্রাবের রং দেখলেও বোঝা যায়, শরীরে কতটা জলের প্রয়োজন। সারা দিনে পর্যাপ্ত জল না খেলে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। সেই বুঝে জল খাওয়া যেতে পারে।
৩) শারীরিক কসরত কিংবা আবহাওয়ার উপরেও জল খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে। খুব ঘাম হলে কিংবা প্রচণ্ড কায়িক পরিশ্রম করলে জল বেশি খেতে হবে, নতুবা নয়।