Hair Colour

দু’দিন অন্তর চুলে রাসায়নিক দেওয়া রং করাচ্ছেন। কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে এর ফলে?

বাজার থেকে কেনা রাসায়নিক নির্ভর রঙের মধ্যে থাকে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড। যা চুলের স্বাভাবিক প্রোটিন, তেল নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৩৬
Hair Colour

ঘন ঘন চুলে রং করালে মাথার ত্বকে অ্যালার্জি হতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত।

যত দামি রং-ই করান না কেন, সপ্তাহ দুয়েক পর আবার চুলের গোড়া থেকে পাকা চুল উঁকি মারতে শুরু করে। সেই সমস্যা সমাধান করতে সালোঁ কর্মীরা দিন পনেরো অন্তর ‘রুট টাচ আপ’ করানোর নিদান দেন। কিন্তু এত ঘন ঘন চুলে রাসায়নিক দেওয়া রং করালে মাথার ত্বক তো ছেড়ে কথা বলবে না! দু’দিন অন্তর চুলে রং করালে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে?

Advertisement

ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, বার বার চুলে রং করালে আর কিছু হোক না হোক, চুলের ঘনত্ব এবং মান নষ্ট হবে। এই ধরনের রঙের মধ্যে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মতো রাসায়নিক থাকে। যা চুলের স্বাভাবিক প্রোটিন, তেল নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। যার ফলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। চুল ঝরে পড়া, ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা বাড়তে পারে। এ ছাড়া, মাথার ত্বকে অ্যালার্জি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কারও ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, সে ক্ষেত্রে রাসায়নিক নির্ভর রং কিন্তু বিষের মতো কাজ করে। অনেকের আবার চুলের রং থেকে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মতো সমস্যাও হয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চুলে রং করাতেও বারণ করেন চিকিৎসকেরা। ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনার একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, এই সময়ে মহিলারা চুলে রাসায়নিক নির্ভর রং ব্যবহার করলে ‘নিউরোব্লাসটোমা’ বা স্নায়ুর ক্যানসারে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।

আরও পড়ুন
Advertisement