ঋতুস্রাবের যাবতীয় কষ্ট নিয়ন্ত্রণে থাকবে! ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুস্রাবের কষ্ট কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। এমনি সময়ে ওষুধ খেয়ে, শুয়ে বসে থাকা যায়। কিন্তু সামনেই তো পরীক্ষা। এই কষ্ট নিয়ে দীর্ঘ সময় পরীক্ষায় বসা খুব কষ্টকর। অতিরিক্ত রক্তপাত, পেটে যন্ত্রণা, পেট ফাঁপা, মাথা ঘোরা, পেশিতে টান লাগার মতো সমস্যায় জর্জরিত হতে হয়। এমনিতেই পরীক্ষার চাপ থাকে। তার উপর হরমোনের হেরফেরে মন-মেজাজ বিগড়ে থাকাও অস্বাভাবিক নয়। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে এতটাই কষ্ট হয় যে, ওষুধ ছাড়া এক পা ফেলার উপায় থাকে না। ক্ষতি হতে পারে জেনেও মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে ফেলেন। তবে আয়ুর্বেদ বলছে, সমস্যা যদি খুব গুরুতর না হয় তা হলে এই ধরনের সমস্যা বশে রাখতে কিন্তু ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখা যেতে পারে।
কী কী খেলে ঋতুস্রাবের কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে?
১) আদা চা: আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান জরায়ুর পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে। ঋতুস্রাব চলাকালীন জরায়ু সঙ্কোচন-প্রসারণের ফলে যে ব্যথা হয়, তা-ও লাঘব করে।
২) দারচিনি: ঋতুস্রাব চলাকালীন অনেকেরই মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত হয়। ঈষদুষ্ণ জলে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাঁদের নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না, তাঁরাও এই টোটকা করে দেখতে পারেন।
৩) হলুদ দেওয়া দুধ: পেটের যন্ত্রণা বশে রাখতে ঈষদুষ্ণ জলে অল্প একটু গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণ জনিত ব্যথা বশে রাখে।
৪) মৌরি: ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেরই পেটব্যথা, পেটফাঁপার সমস্যা হয়। সকলের বাড়িতেই মৌরি থাকে। সামান্য পরিমাণে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারলে সমস্যা বশে থাকবে। ঋতুস্রাবও স্বাভাবিক রাখে।
৫) ফ্ল্যাক্সসিড: ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এই উপাদান। যা ঋতুস্রাবজনিত যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।