ঢ্যাঁড়শের গুণাগুণ। ছবি: সংগৃহীত।
মজা করে কাউকে ‘ঢ্যাঁড়শ’ নামে সম্বোধন করলে বেজায় চটে যান তিনি। অথচ এই সব্জির গুণ কোনও অংশে কম নয়। ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেটের মতো উপাদানে ভরপুর। ভিটামিন বি ডায়াবেটিক স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিহত করে। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণে রাখে হোমোসিস্টেইনের মাত্রা। এই উপাদানটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ঢ্যাঁড়শে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবারই থাকে। ফাইবার পাচনক্রিয়ার গতি কমিয়ে দিতে পারে। ফলে খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে ধীরে। তা ছাড়া, ঢ্যাঁড়শে ক্যালোরির মাত্রাও বেশ কম। ফলে অনায়াসে খাওয়া যেতে পারে ঢ্যাঁড়শ।
নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খেলে আর কী কী উপকারে লাগে?
১) পুষ্টিগুণে ভরপুর
ঢ্যাঁড়শে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো জরুরি কিছু উপাদান, যা শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
২) হজমে সহায়ক
দু’ধরনের ফাইবারে সমৃদ্ধ ঢ্যাঁড়শ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ করে। অন্ত্র ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতেও নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
সহজপাচ্য ফাইবারের পাশাপাশি ঢ্যাঁড়শে রয়েছে পলিফেলনের মতো উপাদান। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ছোট থেকে ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার অভ্যাস টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমাতে পারে।
৪) কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ফাইবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ঢ্যাঁড়শে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই নিয়মিত এই সব্জি খেলে হার্ট ভাল থাকে।
৫) দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
চোখ ভাল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল ভিটামিন এ। ঢ্যাঁড়শে এই ভিটামিন রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। চোখে বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রুখতে নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়া প্রয়োজন।
৬) হাড় মজবুত করে
হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় দু’টি উপাদান ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে ঢ্যাঁড়শে। সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন সি-ও। তাই অস্টিয়োপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ঢ্যাঁড়শ।
৭) ত্বকে জেল্লা বজায় রাখে
ঢ্যাঁড়শে যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা অন্য সব্জিতে নেই। সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। যা ত্বকের জেল্লা বজায় রাখার পাশাপাশি বয়সজনিত লক্ষণগুলিও নিয়ন্ত্রণে রাখে।