রুটি না কি ভাত, ওজন কমাতে কোনটি বেশি উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর মাসখানেক আগে থেকে রোগা হওয়ার ডায়েটে শুরু করেছেন অনেকেই। বাইরে খাবার খাওয়া বন্ধ করা থেকে তেল-মশলা দূরে রাখা— কম সময়ে রোগা হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেকেই। তবে এই ডায়েটের পর্বে একটি বিষয় নিয়ে মাঝেমাঝে চিন্তায় পড়েছেন অনেকে। বাঙালি বা়ড়িতে ভাত অথবা রুটি হল প্রধান খাদ্য। সঙ্গে মাছ, মাংস, সব্জি নানা রকম খাবার থাকে। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, দ্রুত ওজন ঝরাতে ভাত না কি রুটি, কোনটি খাবেন আর কোনটি বাদ দেবেন।
তবে স্বাভাবিক প্রবণতা অনুযায়ী, রোগা হওয়ার ডায়েট থেকে প্রথমেই বাদ দিয়ে দেন ভাত। অনেকেরই ধারণা, ভাত খেলে ওজন বা়ড়ে। সে ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি মেটাতে রুটি খান। ভাত না কি রুটি? দ্রুত ওজন ঝরাতে কোনটি বেশি উপকারী, তা নিয়ে একটা ধন্দ চলতেই থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে রুটিই বেশি প্রাধান্য পায়। ভাত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে, এমন একটি আশঙ্কা রয়েছেই। পুষ্টিবিদেরা অবশ্য সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেন। তাঁদের মতে, ভাত এবং রুটি দু’টিরই ভিন্ন ভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। ভাত খেলে ওজন বাড়বে আর রুটি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। বরং ছিপছিপে থাকতে দু’টিই খাওয়া যেতে পারে।
অনেকেই আছেন, যাঁরা সারা সপ্তাহে রুটি খান। ছুটির দিন কিংবা অন্য কোনও এক দিন ভাত খান। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এটি ভুল নিয়ম। সপ্তাহে চার দিন রুটি খেলে দু’দিন ভাত খেতেই হবে। তবে রুটি খেলেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। গমের চেয়ে রাগি, জোয়ার, বাজরা দিয়ে তৈরি রুটি ওজন কমানোর জন্য বেশি উপকারী। কারণ এগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম থাকে। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায় না। জোয়ার, বাজরা এমনিতেই বেশ পুষ্টিকর। ছিপছিপে থাকতে সাহায্য করে এগুলি।
ওজন কমানোর ডায়েটেও ভাত রাখা যায়। তবে এমনি সাদা ভাত খেলে কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বরং ব্রাউন রাইস খেলে খেতে পারেন। বেশি উপকার পাবেন। রুটিতে তা-ও গ্লুটেন থাকে। কিন্তু ব্রাউন রাইস গ্লুটেন মুক্ত।
ওজন কমাতে ভাত এবং রুটি দু’টিরই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কোনও একটি খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে বরং মুশকিল। সবগুলিই যদি অল্প পরিমাণে খাওয়া যায়, তা হলে ওজন হাতের মুঠোয় রাখা মুশকিলের নয়।
প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সচেতনতার উদ্দেশ্য লেখা হয়ছে। ডায়েটের ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি।