ছবি: সংগৃহীত।
দু’দিন আগেই বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর এসেছিল। আবার এখন গলাব্যথা। খাবার খাওয়ার সময়ে ঢোঁক গিলতে গেলে কষ্ট হচ্ছে। ঝাল-মশলা খাওয়ার সময়েও গলা জ্বালা করছে। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে অনেকেই দুধের সর, মাখন খাওয়ার নিদান দেন। তবে, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হল পোড়ানো আদা এবং মধুর মিশ্রণ।
এই মিশ্রণ গলার ঘা বা ক্ষত সারানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। আদা এবং মধুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান সংক্রমণজনিত নানা ধরনের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। কিন্তু সেই মিশ্রণ বানাতে গেলে আদা পোড়াতে হয়। সেই পদ্ধতি জানেন কি?
আদা রোস্ট করবেন কী করে?
গ্যাস অভেনের উপর রুটি সেঁকার জালতি বসিয়ে নিন। তার উপর খোসা-সহ গোটা আদা রাখুন। অল্প আঁচে আদার টুকরো এ পিঠ-ও পিঠ করে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সেঁকে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন খুব পুড়ে না যায়। এ বার আদার খোসা ছুলে নিন। মিক্সিতে আদা মিহি করে বেটে নিতে পারেন। গ্রেট করেও আদার রস বার করে নিতে পারেন। আদার রস খাওয়ার আগে মধু মিশিয়ে নিতে হবে। আগে থেকে মধু মিশিয়ে রাখলে কিন্তু কোনও কাজ হবে না।
শুধু গলার ঘা নয়, আদা এবং মধুর মিশ্রণ খেলে আর কী কী উপকার হয়?
১) বুকে জমা কফ, পুরনো কাশি নিরাময় করতে এই টোটকা দারুণ কাজের। কথা বলতে গিয়ে কিংবা ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালিতে সর্দি জড়ালেও অস্বস্তি হয়। আদা এবং মধুর মিশ্রণ এই ধরনের সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
২) আদার মধ্যে প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। আদা এবং মধুর মিশ্রণ খেলে অস্থিসন্ধির ব্যথায় আরাম মেলে। অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও আটকে দেওয়া যায়।
৩) নিয়মিত এই মিশ্রণ খেতে পারলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই টোটকা উপকারী।
৪) মরসুম বদলের সময় মাথাব্যথা কিংবা মাইগ্রেনের কষ্ট হয়? এই ধরনের কষ্ট নিরাময়ে পোড়ানো আদা এবং মধুর মিশ্রণ ভাল কাজ দেয়। আদার রস এবং মধু মেশানো পানীয় খেলেও আরাম মিলবে।
৫) বর্ষায় রোগবালাই লেগেই থাকে। সে সবের সঙ্গে লড়াই করতে হলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন। রোজ আদা এবং মধু খেলে তা-ও সম্ভব।