অল্প দৌড়লেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরচর্চা বলতে সকালে বাড়ির চারপাশে এক পাক দৌড়নো আর বিকেলে নিয়ম করে পার্কে জগিং করা। ছকে বাঁধা এই নিয়ম মেনে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। তবে পুজোর পর থেকে বাতাসে ধূলিকণার মাত্রা এমন বেড়ে গিয়েছে যে, কুয়াশা পড়ার মতো শীত না এলেও সকালের দিকে ধোঁয়ার আস্তরণ দেখা যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, অল্প হাঁটলেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। তার উপর সামনেই দীপাবলি। আলোর উৎসব হলেও বাজি কিন্তু ব্রাত্য নয়। সেই সময়ে বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বাড়বে, তখন বাইরে বেরোনো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়স্কদের জন্য তা যথেষ্ট ঝুঁকিরও। তবে বাইরে বেরোতে পারছেন না বলে শরীরচর্চা করা বন্ধ করে দেওয়াও কাজের কথা নয়। ঘরের মধ্যে দৌড়তে না পারলেও হাঁটা বা দৌড়নোর মতোই ফল মেলে এমন ব্যায়াম করাই যায়।
বাইরে হাঁটতে বা দৌড়তে গেলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে?
১) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে
ঘরের বাইরে শরীরচর্চা করার উদ্দেশ্য হল শরীরে বেশি মাত্রায় অক্সিজেন যোগ করা। কিন্তু দূষিত বাতাসের মধ্য হাঁটাহাটি বা দৌড়লে অক্সিজেনের পরিবর্তে ফুসফুসে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ জমা হবে। ফলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এই সময়ে বেড়ে যেতে পারে। সিওপিডির মতো সমস্যা সাংঘাতিক আকার নিতে পারে।
২) শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে
শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মানে শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছতে পারছে না। যার ফলে ফুসফুসের উপর চাপ পড়ছে। অক্সিমিটারে মাপলে দেখা যাবে রক্তে যে পরিমাণ অক্সিজেন থাকার কথা, তা নেই।
৩) মাথা ধরার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে
এমনিতে রোদ লাগলে মাইগ্রেনের সমস্যা হয় অনেকের। ঠান্ডা-গরমেও মাথা ধরার সমস্যা হতে পারে। কিন্তু রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকলেও মাথা ধরতে পারে।
৪) চোখ লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে
বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকলে চোখের উপর প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। অনেকেরই চোখ লাল হয়ে, ফুলে যায়। চোখে অস্বস্তি হয়, চোখ থেকে অনর্গল জল পড়তে থাকে।
৫) অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে
শীতকালে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল এই বায়ুদূষণ। এমনিতেই এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণা, ভাইরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সে সব সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে হাঁচি, সর্দি, কাশির পাশাপাশি ত্বকেও র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে।