ওজন ঝরাতে প্রোটিন জাতীয় খাবার রোজ রাখতেই হবে খাদ্যতালিকায়। ছবি: সংগৃহীত
প্রতি দিন নিয়ম করে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন। পুষ্টিবিদদের সঙ্গে কথা বলে ডায়েট চার্টও বানিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু দিনের শেষে কিছুতেই কমছে না পেটের মেদ। স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ! কিন্তু কেন এমন হচ্ছে ভেবে দেখেছেন কি?
শরীরচর্চা কিংবা ডায়েটের ক্ষেত্রে কিছু গলদ থেকে গেলে হাজার চেষ্টাতেও ওজন ঝরানো সম্ভব হয় না। জেনে নিন ঠিক কী কী কারণে এমনটা হয়—
১) মেদ ঝরাতে হঠাত্ করে ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেন অনেকেই। ফলে শরীরে প্রতি দিন যে পরিমাণ ক্যালরি প্রয়োজন, শরীর তা পায় না। অনেকেই রোগা হওয়ার আশায় খাওয়াদাওয়া কার্যত বন্ধ করে দেন। হঠাত্ করে পুষ্টিবিদদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই কোনও কঠিন ডায়েট করতে শুরু করেন অনেকে। এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। ওজন ঝরাতে প্রোটিন জাতীয় খাবার রোজ রাখতেই হবে খাদ্যতালিকায়। শরীরকে দিতে হবে পর্যাপ্ত ভিটামিনও।
২) দিনে এক ঘণ্টা শরীরচর্চা করেন বটে কিন্তু বাকি সময়টা একটানা অনেক ক্ষণ বসে কাজ করেন। লাইপেজ নামক একটি এনজাইম চর্বি পোড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘক্ষণ বসে বসে কাজ করলে শরীরে লাইপেজের ক্ষরণ ব্যহত হয়। তাই লাইপেজের উত্পাদন বাড়াতে একটানা বসে কাজ করবেন না। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই দুই-তিন মিনিট হাঁটাহাটি করুন।
৩) অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততার কারণে আমদের মানসিক চাপ বাড়ে। ফলে শরীরে কর্টিসল হরমোনে ক্ষরণ বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের হরমোন বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। শরীরের পাচন ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ক্যালরি খরচও তুলনামূলক ভাবে কমে যায়।
৪) শরীরে জলের ঘাটতি হলে যকৃতের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে যকৃত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতেই হবে। সঙ্গে খাদ্যতালিকায় ফাইবারের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
৫) পরিবারের কি অনেকের শরীরই স্থূল? আর বংশানুক্রমে আপনিও সেই ধাঁচ পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে ওজন ঝরানোর জন্য।
৬) রাতে অনেক ক্ষণ জেগে থাকার অভ্যাস অনেকেরই আছে। এর কারণে কিন্তু আপনার বিপাকক্রিয়া ব্যহত হয়। ফলে অনেক চেষ্টা করেও মেদ ঝরানো যায় না। রাতের খাবার আটটার আগেই খেয়ে ফেলুন। ১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পরার চেষ্টা করুন। খেয়েই ঘুমোতে যাবেন না যেন।