Workout Tips

রোজ জিমে গিয়ে ভারী ওজন নিয়ে শরীরচর্চা করছেন? শরীরে কোন ৭ উপসর্গ দেখা দিলে বিরতি নেবেন?

শরীরে কিছু অস্বস্তি হলেও কিন্তু জিমে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। জেনে নিন কোন কোন শারীরিক অসুবিধা নিয়ে জিমে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৩ ১৪:০০
Image of workout.

শরীর সুস্থ রাখতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন জিমে গিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।

চিকিৎসকদের কাছে গেলেই হুশিয়ারি মেলে। ওজন কমান, না হলে কিন্তু ভুগতে হবে। স্থূলতার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে হাজার রোগব্যাধি। তাই ওজন বাড়লেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন জিমে গিয়ে। দ্রুত ওজন ঝরিয়ে ফেলার জন্য চলছে দেদার ভারী ওয়ার্ক আউট। তরুণদের মধ্যে আবার বেড়েছে সুঠাম চেহারা বানানোর হিড়িক। কারও চাই ‘সিক্স প্যাক’, কারও আবার ‘এইট প্যাক’ বানানোর ইচ্ছা! তার জন্য পাড়ার জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেদার শরীরচর্চা, ফিটনেসবিদের পরামর্শ ছাড়াই মুড়িমুড়কির মতো সাপ্লিমেন্ট খাওয়া।

জিমে শরীরচর্চা করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তরুণী-তরুণীদের, এমন ঘটনা মাঝেমধ্যেই উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে। জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার উপকারিতা অনেক। কিন্তু শরীরের উপর বাড়তি চাপ দেওয়া কখনওই উচিত নয়। শরীরচর্চার নেশায় বুদ হয়ে অনেকেই আছেন, যাঁরা সপ্তাহের সাত দিনই জিমে যান। শরীরচর্চার মাঝে কিন্তু বিশ্রামেরও প্রয়োজন।

Advertisement
Image of workout.

কিছু উপসর্গ দেখা দিলে জিমে যাওয়া কিছু দিনের জন্য বন্ধ করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।

ফিটনেসবিদেরাও কিন্তু সপ্তাহে পাঁচ-ছয় দিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া, শরীরে কিছু অস্বস্তি থাকলেও কিন্তু জিমে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। জেনে নিন, কোন কোন শারীরিক অসুবিধা নিয়ে জিমে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

১) বুকের বাঁ দিকে ব্যথা তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রেই গোটা বুক জুড়েই চাপ ও অস্বস্তি অনুভূত হলে তা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। অনেক সময় বুকের পেশিতেও টান পড়ে। সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায়। এমনটা হলে কিন্তু জিমে যাওয়ার মতো ভুল করবেন না।

২) পেটব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব প্রাথমিক ভাবে গ্যাস-অম্বলের লক্ষণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এইগুলি কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। খুব পেটব্যথা হলে সে দিনে জিমে না যাওয়াই ভাল।

৩) হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে কেবল বুকের সম্পর্ক আছে, এমন ধারণা কিন্তু ভুল। হাত, ঘাড়, কাঁধে ব্যথাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেট, এমনকি চোয়ালে ব্যথা হলেও সে দিন জিমে যাবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আর কোন কোন সময়ে জিম এড়িয়ে চলবেন?

১) অনেক সময় অতিরিক্ত শরীরচর্চার কারণে ঋতুচক্রের উপর প্রভাব পড়ে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ঋতুস্রাব না হলে জিমে যাওয়া কিছু দিনের জন্য বন্ধ করতে পারেন।

২) বিভিন্ন কারণে রাতে দেরিতে ঘুমোতে যাচ্ছেন আর সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হচ্ছে? দিনের পর দিন ঘুমের অভাব হলে শরীর এমনিতেই ক্লান্ত লাগে। অতিরিক্ত ধকলের পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে জিমে না যাওয়াই ভাল।

৩) প্রথম প্রথম জিমে গেলে কিংবা দীর্ঘ দিন পর জিমে গেলে পেশিতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তবে নিয়মিত জিম করার পর হঠাৎ কোনও দিন পেশিতে ব্যথা হলে একটু সতর্ক হোন। তখন জিমে না যাওয়াই শ্রেয়।

৪) পেটখারাপ কিংবা ডায়েরিয়া হলে শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়, তাই শরীরে জলের ঘাটতি হয়। এই সময়েও জিম এড়িয়ে চলাই ভাল।

আরও পড়ুন
Advertisement