বেশি প্রোটিনেও ওজন বাড়তে পারে! ছবি: সংগৃহীত।
কম সময়ে ওজন কমাতে প্রোটিনের জুড়ি মেলা ভার। ডায়েট চলাকালীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই কারণেই ডায়েট করার সময় বেশি করে প্রোটিন খাওয়ার দিকে জোর দিতে বলা হয়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা দীর্ঘ। তবে প্রোটিন আছে মানেই খাবারটি স্বাস্থ্যকর হবে, সেটাও নয়। এমন অনেক খাবারে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যেগুলি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেই ঝুঁকি এড়াতে ডায়েট করার সময় কোন খাবারগুলি ভুলেও খাবেন না?
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, চিজ়, ইয়োগার্ট হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে অনেকেই দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খান। কিন্তু ওজন ঝরানোর পর্বে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এই ধরনের খাবারে শুধু প্রোটিন নেই, ফ্যাটও রয়েছে সমপরিমাণে। এই ফ্যাট ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
ডায়েট করছেন বলে জলখাবারে লুচি, পরোটার বদলে সসেজ, বেকন খাচ্ছেন? ভুল করছেন। এই খাবারগুলিতে প্রোটিনের পাশাপাশি সো়ডিয়ামও রয়েছে। সোডিয়াম গ্যাস-অম্বলের অন্যতম কারণ। ঘন ঘন গ্যাস-অম্বল হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে।
বাদাম
ডায়েট চলাকালীন মাঝে মাঝে মুখ চালাতে বাদামের উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। বাদামে প্রোটিনের পরিমাণ নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। তবে বাদামে প্রোটিন ছাড়াও ক্যালোরি, ফ্যাটও রয়েছে। বেশি বাদাম খেলে আবার ওজন বেড়ে যেতে পারে।
প্রোটিন বার
রোগা হওয়ার জন্য প্রোটিন বার খান অনেকেই। প্রোটিন বার শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু প্রোটিন বারে বাড়তি চিনি থাকে। শরীরে চিনি প্রবেশ করা মানেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ওজন ঝরানোর পর্বে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
ডাল
ওজন কমানোর পর্বে বেশি করে ডাল খাওয়ার কথা বলে থাকেন পুষ্টিববিদরা। ডালের মতো উপকারী খাবার সত্যিই খুব কম আছে। তবে ডালে প্রোটিন যেমন রয়েছে, কার্বোহাইড্রেটও সমপরিমাণে রয়েছে। প্রোটিন ওজন কমাতে সাহায্য করলেও কার্বোহাইড্রেট ওজন বাড়িয়ে দেয়।