Summer Tips

কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি! কী ভাবে গরমকে জব্দ করবেন?

কলকাতায় তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ছুঁইছুঁই। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা কবে মিলবে, এখনই বলা মুশকিল। এতটা অসহনীয় গরমে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কী ভাবে, তা জেনে রাখা প্রয়োজন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩০
Nine steps to protect yourself from extreme temperatures

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়িয়ে চলবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

আগামী দিনগুলিতে দাবদাহ আরও বাড়বে, এমনই আভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও, দক্ষিণবঙ্গ এখনই স্বস্তি পাবে না গরমের হাত থেকে। দক্ষিণবঙ্গে চলবে তাপপ্রবাহও। কলকাতাতেও তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা কবে মিলবে, এখনই বলা মুশকিল। এতটা অসহনীয় গরমে শরীর খারাপ হতেই পারে। বাইরে বেরোলে তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ বোধ করতে পারেন অনেকেই। হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কী ভাবে, তা জেনে রাখা প্রয়োজন।

Advertisement

জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন, রোদ থেকে শরীর শুকিয়ে যাওয়া এবং পেশিতে টান ধরা (হিট ক্র্যাম্প), সামান্য শ্রমেই হাঁপ ধরা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি (হিট ফ্যাটিগ) এবং হিট স্ট্রোক হতে পারে খুব বেশি তাপপ্রবাহে। কোন উপসর্গগুলি দেখলেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন?

১) রোদে শরীর শুকিয়ে গেলে বা হিট ক্র্যাম্প হলে জ্ঞান হারাতে পারেন। পাশাপাশি ১০২ ডিগ্রির কাছাকাছি জ্বর আসতে পারে। শরীরে নানা জায়গা ফুলে যেতে পারে।

২) বার বার হাঁপ ধরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি হওয়া বা বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরি হওয়া বা মাথা ধরা রোদ থেকে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা হিট ফ্যাটিগের লক্ষণ।

৩) হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যেতে পারে। জ্ঞান হারানো এর অন্যতম লক্ষণ। পরিস্থিতির অবনতি হলে রোগী কোমাতেও চলে যেতে পারেন বা তাঁর মৃত্যুও হতে পারে।

কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে?

Nine steps to protect yourself from extreme temperatures

রোদে শরীর শুকিয়ে গেলে বা হিট ক্র্যাম্প হলে জ্ঞান হারাতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।

১) দুপুর ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভাল। সম্ভব হলে ঘরের ভিতরে থেকেই কাজ করুন। এই সময়ে রোদের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে।

২) সারা দিন ধরে ঘন ঘন জল খান। শরীর শুকিয়ে যেতে দেবেন না। জলের পাশাপাশি ঘোল, আখের রস, ডাবের জলও খেতে পারেন। ওআরএস, লেবুর জল, ঘোল বা লস্যি সারা দিন খান। ছাতু বা বেলের শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।

৩) সুতির হালকা পোশাক পরুন, যাতে ঘাম হলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চটি পরুন।

৪) বাইরে বেরোলেই রোদচশমা, ছাতা, রুমাল অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। সূর্যের আলো সরাসরি গায়ে লাগতে দেবেন না।

Nine steps to protect yourself from extreme temperatures

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

৫) সর্বাধিক তাপমাত্রার সময়ে শরীরচর্চা বা অতিরিক্ত ক্লান্তিকর কোনও রকম কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। পরিশ্রমের কাজ দুপুর ১২টার আগেই সেরে ফেলুন।

৬) অনেকেই বেজায় গরমে প্রচুর বিয়ার, সোডা বা নরম পানীয় খেয়ে ফেলেন। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বে়ড়ে যায়। চা বা কফিও খুব বেশি খাবেন না।

৭) এই সময় অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি এবং বাসি খাবার খাবেন না।

৮) ঘর ঠান্ডা রাখুন। যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বাড়িতে না থাকে, ভারী পর্দা দিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখুন। ফ্যানের তলায় ঠান্ডা জলের বাটিতে কয়েক টুকরো বরফ রেখে দিতে পারেন।

৯) ঠান্ডা জলে স্নান করতে পারেন দিনে ২ থেকে ৩ বার। অসুস্থ বোধ করলেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন
Advertisement