Cancer Awareness

চা-কফি খেলে মুখ ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে? সমীক্ষায় আর কী দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা?

পিয়ার-রিভিউড্ বিজ্ঞান পত্রিকা ‘ক্যানসার’-এ এই সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে গবেষকরা দাবি করেছেন, মুখ, গলা ও শ্বাসনালিতে ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতে পারে চা বা কফি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০২
New study suggests that coffee, tea consumption may lower the risk of cancer

চা বা কফি খেলে কি ক্যানসারের আশঙ্কা কমে? ফাইল চিত্র।

চা বা কফি খেলে ক্যানসারের আশঙ্কা কমে? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে সম্প্রতি ‘আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি’ এই বিষয়টি নিয়ে তাদের সমীক্ষার ফলাফল জানিয়েছে। পিয়ার-রিভিউড্ বিজ্ঞান পত্রিকা ‘ক্যানসার’-এ এই সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে গবেষকেরা দাবি করেছেন, মুখ, গলা ও শ্বাসনালিতে ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতে পারে চা বা কফি। তবে ঠিক কী ভাবে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে, তা নিয়ে এখনও গবেষণা ও সমীক্ষা চলছে।

Advertisement

‘ইন্টারন্যাশনাল হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসার এপিডেমোলজি কনসোর্টিয়াম’ এই সমীক্ষাটি চালাচ্ছে। তারা জানিয়েছে, মুখ ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত সাড়ে ৯ হাজার রোগীকে নিয়ে সমীক্ষাটি করা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। দেখা গিয়েছে, ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের নিয়ম মেনে চা বা কফি খাওয়ানো হত রোজ, তাঁদের মধ্যে ১৫ হাজার ৭০০ জনের ক্যানসার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গবেষকেরা দাবি করেছেন, দুধ বা চিনি ছাড়া কালো কফি খাওয়ানো হত রোগীদের। প্রতি দিন চার কাপের মতো কফি খেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের শরীরে ক্যানসারের তীব্রতা অনেকটাই কমেছে। মুখগহ্বরের ক্যানসারের ৩০ শতাংশ ও গলার ক্যানসারের ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে অনেকেরই। চা খাইয়েও একই রকম পরীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছে, দিনে ৩-৪ কাপ দুধ-চিনি ছাড়া কফি বা চা খেলে গলার ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৪১ শতাংশ কমে যেতে পারে।

এই বিষয়ে ভারতের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এর তথ্য বলছে, কফি বা চা-তে পলিফেনলিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। তবে তা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, কফি বা চা পরিমিত মাত্রায় খেলে ক্ষতি নেই। তবে বেশি খেলেই মুশকিল। কফি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে কি না বা পারলেও কী ভাবে, সে নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। নিশ্চিত তথ্য এখনই প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়। তাই দিনে কত কাপ চা বা কফি খেলে উপকার হবে, তা সেই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপরেই নির্ভর করবে। এই বিষয়ে চিকিৎসকের মতামত নেওয়া জরুরি।

Advertisement
আরও পড়ুন