জার্নাল ‘সেল’এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে চারটি কারণ চিহ্ণিত করা হয়েছে যা বলে দেবে কোন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে লং কোভিডের উপসর্গগুলি দেখা যেতে পারে। ছবি সংগৃহীত
হালকা জ্বর, সর্দি কিংবা গা ব্যথা রয়েছে বেশ কিছু দিন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপসর্গগুলি এতই সামান্য যে পরীক্ষা করানোর কথা মনেও আসেনি। বুঝতে পারছেন না আদৌও কোভিড আক্রান্ত কি না? সাবধান! একেই কিন্তু লং কোভিড কিংবা পোস্ট কোভিডের লক্ষণ বলছেন চিকিৎসকরা।
কাদের মধ্যে লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাই নিয়েই চলছে নানা গবেষণা। কোভিডের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে আক্রান্ত কিছু মানুষ সেরে উঠেছেন খুব তাড়াতাড়ি। আবার অনেকের কোভিড থেকে সেরে উঠতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। এই ধরনের লং কোভিড সমস্যায় ভুগেছেন করোনা আক্রান্ত পাঁচ জনের মধ্যে একজন। শারীরিক, স্নায়বিক সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যেই কি লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
ঠিক কোন জৈবিক কারণগুলি লং কোভিডের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে তার হদিশ দিয়েছেন গবেষকদের একটি দল যাঁরা ২০০ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন মাস ধরে গবেষণা চালিয়েছেন।
জার্নাল ‘সেল’এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে চারটি কারণ চিহ্ণিত করা হয়েছে যা বলে দেবে কোন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে লং কোভিডের উপসর্গগুলি দেখা যেতে পারে। এক জন ব্যক্তির করোনভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রথম দিকেই এই লক্ষণগুলি সনাক্ত করা যাবে।
গবেষকরা বলেছেন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণের পরিমাণ প্রাথমিক দিকে কতখানি তার উপরেই নির্ভর করবে তিনি লং কোভিডে আক্রান্ত হবেন কি না। তাদের মতে, এই গবেষণা লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকখানি কমাতে পারে। লং কোভিডের উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের কোভিডের প্রথম দিকেই
গবেষকরা সনাক্ত করা চারটি কারণের মধ্যে একটি হল সংক্রমণের প্রথম দিকে রোগীর রক্তে করোনভাইরাস আরএনএর স্তর, যা ভাইরাল লোডের একটি সূচক। আরেকটি কারণ হল রক্তে এমন কয়েকটি অটোঅ্যান্টিবডির উপস্থিতি যা শরীরের টিস্যুগুলি আক্রমণ করে। মূলত লুপাস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রে শরীরে এই অটোঅ্যান্টিবডিগুলি আক্রমণ হয়। তৃতীয় কারণ হল এপস্টাইন-বার ভাইরাসের পুনঃসক্রিয়তা। এই ভাইরাস সাধারণত অল্পবয়সিদের শরীরে বাসা বাঁধে,এবং তারপর সুপ্ত হয়ে যায়। এই গবেষণায় বলা হয়েছে টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেও লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।