মধ্যরাতে টুকিটাকি খাবার খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো ব্যাধিকে আমন্ত্রণ করে। ছবি : সংগৃহীত
ওজন ঝরাতে পুষ্টিবিদের কথাই আপনার কাছে বেদবাক্য। তাঁর করে দেওয়া খাবার তালিকা মেনে, ঘড়ি ধরেই খাওয়াদাওয়া করেছেন। প্রতি দিন ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি, সে-ও করেছেন। কিন্তু রাত জেগে সিনেমা বা সিরিজ় দেখতে বসলেই টুকটাক মুখ চলতে থাকে। এখন তো মধ্যরাতে ফ্রিজ খুলে ডার্ক চকোলেট খাওয়া এক রকম অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
নতুন একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করলেও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সময়। তাই রাতে সময় মতো খাবার খাওয়ার পরও মধ্যরাতে যাঁদের টুকিটাকি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে ওজন কমানো বেশ অসুবিধাজনক। শুধু তা-ই নয়, এই অভ্যাস ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো ব্যাধিকেও আমন্ত্রণ করে।
সাধারণের তুলনায় বেশি ওজনের ১৬ জন রোগীকে, দু’টি দলে ভাগ করে, তাঁদের যাবতীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে নিয়ে, গবেষকরা এই পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। প্রথম আট জনের দলটিকে একেবারে সময় ধরে ধরে দিনে চার বার সুষম খাবার পরিবেশন করা হয়। দ্বিতীয় দলটিকে ওই একই খাবার দেওয়া হয়, কিন্তু সময়ের ব্যবধান রেখে। তাঁদের সকলের ঘুমোতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার সময়ও নথিভুক্ত করা হয়।
সমীক্ষার শেষে দেখা যায়, প্রথম দলটির তুলনায় যে দলটি অনেকটা বেশি রাতে খাবার খেয়েছেন এবং নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রাতরাশ করেছেন, তাঁদের শরীরের মধ্যে থাকা খিদে নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক লেপটিন, গ্রেহলিনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শুধু তা-ই নয়, দু’টি দলের আলাদা আলাদা সময়ে খাবার খাওয়ার পর, কার শরীরে কী ভাবে মেদ জমছে, তা দেখার জন্য অ্যাডিপোস টিস্যুর বায়োপসি করেও দু’টি দলের ভিন্ন ফল নজরে এসেছে।
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর রাতের খাওয়া, বা খাওয়ার পরও মধ্যরাতে খিদে পাওয়ার অনুভূতি দেহের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দেয়।