Teenager

Stress: পড়া থেকে খেলা, সবেতেই সেরা হওয়ার চাপ? কিশোর-মনের যত্ন নেবেন কী ভাবে

কিশোর বয়স হল এগিয়ে থাকার লড়াইয়ের সবচেয়ে গুরুতর সময়। এত কিছুর মধ্যে পড়ে মানসিক চাপ বাড়তে পারে সন্তানের।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২১ ১৫:৫১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সন্তান সব কাজে এগিয়ে থাকুক। এমন ইচ্ছা কার না হয়? এগিয়ে থাকতে গেলে মন দিতে হয় শিক্ষায়। তবেই সকলের নজরে পড়বে সে।
কিশোর বয়স হল এগিয়ে থাকার লড়াইয়ের সবচেয়ে গুরুতর সময়। স্কুলের গণ্ডি পার করতে হবে সসম্মানে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতে হবে নামী কলেজে। সে সবের জন্য মোটেই শুধু লেখাপড়ায় এগিয়ে থাকলে হয় না। গানবাজনা থেকে খেলা, সব ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ হতে হয় বাকিদের পিছনে ফেলে সমাজের নজর কাড়তে হলে।

Advertisement
আরও পড়ুন:
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সন্তানের মানসিক চাপ?

১) কাজের সময়ে কাজ হবে। কিন্তু আরামের সময়ও চাই। এমন শিক্ষা বাবা-মা দিতে পারেন। কাজকর্মের বাইরে কিছুটা হাল্কা সময় কাটানোর অভ্যাস করান সন্তানকে।

২) প্রতিযোগিতা থাকবেই। ঘর থেকে বেরোলেই তা তাড়া করবে সন্তানকে। কিন্তু সর্বক্ষণ প্রতিযোগিতা ভিত্তিক আলোচনায় জড়াবেন না কিশোর-কিশোরীদের। তাতে মানসিক চাপ বাড়ে।

৩) পরীক্ষায় ভাল ফলই একমাত্র সুশিক্ষার লক্ষণ নয়। এ কথা শেখান সন্তানকে। অনেকে পরীক্ষায় সেরা হয়েও জীবনের যুদ্ধে পি‌ছিয়ে পড়েন, আবার অনেক ক্ষেত্রে হয় ঠিক উল্টো। ফলে স্কুলের পরীক্ষা তার শ্রেষ্টত্বের একমাত্র নির্ধারক নয়।

৪) সপরিবার সময় কাটান। সে সময়ে বাবা-মায়ের কাজের জগৎ থেকে সন্তানের স্কুল, সব আলোচনাই থাকুক দূরে। নিছক আড্ডায় অনেক হাল্কা হয় মন। কিশোর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে এমন সময় কাটানোর মতো শিক্ষালাভের সুযোগ আর কী বা হতে পারে?

৫) কিশোর-কিশোরীর একটা ভুল যে বাবা-মায়ের কাছে তার গুরুত্ব কমায় না, তা বোঝান। তবে এমনিতেই খানিকটা চাপ কমে যাবে। সন্তান বহু ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মূলত অভিভাবকের মন জয় করার জন্য।

Advertisement
আরও পড়ুন