বেহিসাবি জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, প্রাত্যহিক বিভিন্ন বদঅভ্যাস এই মারণরোগ ডেকে আনতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
মহিলারা সবচেয়ে বেশি যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তার মধ্যে অন্যতম স্তন ক্যানসার। বয়স নির্বিশেষে যে কোনও মহিলার দেহেই এই ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে। এমনকি, পুরুষের শরীরেও দেখা দিতে পারে স্তন ক্যানসার। প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা পড়লে রোগ নিরাময়ের সুযোগ বেশি থাকে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই রোগ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। ঠিক কী কারণে এই রোগ হয়, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও বেহিসাবি জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, প্রাত্যহিক বিভিন্ন বদঅভ্যাস এই মারণরোগ ডেকে আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স ২০-৩০ থাকতেই হতে হবে সতর্ক।
১। স্তন্যদান: আমেরিকার এমডি অ্যান্ডারসন হাসপাতালের গবেষণা বলছে, কোনও নারী ১২ মাস স্তন্যদান করলে এই ক্যানসারের আশঙ্কা কমে ৪.৩ শতাংশ। তাই মা হওয়ার পর স্তন্যদান করলে কমতে পারে স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা।
২। খাদ্যাভ্যাস: ‘নিউট্রিশন ২০২২ লাইভ’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁদের খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, ফল, শাকসব্জি, বাদাম এবং লেবু থাকে, তাঁদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। আর যাঁদের ডায়েটে চাল, ময়দা, চিনি বেশি তাঁদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
৩। ওজন: অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তাই বয়স কম থাকতেই লাগাম টানতে হবে ওজনে। তেল-ঝাল-মশলা জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তার মধ্যে অন্যতম। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়।
৪। মদ্যপান ও ধূমপান: ক্যানসার প্রতিরোধে মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার বিকল্প কিছু নেই। স্তন ক্যানসারও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। মাত্রাতিরিক্ত তামাক, অ্যালকোহলের থেকে দূরে থাকতে পারে কিছুটা হলেও কমে মারণব্যাধির শিকার হওয়ার আশঙ্কা।