পাতার গুণেই কমবে ভুঁড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
বাইরের খাবারের প্রতি অগাধ ভালবাসা থাকলে, মধ্যপ্রদেশ ক্রমশ স্ফীত থেকে স্ফীততর হতে থাকবে, তা নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয়। আবার শুধু ভুঁড়ির ভয়ে রসনাতৃপ্তি থেকেও নিজেকে বঞ্চিত করা যায় না। তা হলে উপায়? সে ক্ষেত্রে অনেকেরই প্রথম ভরসা হবে জিম। লোহালক্কড় টেনে দিনে ঘণ্টাখানেক ঘাম ঝরিয়ে নিলেই নিশ্চিন্ত। দেদার খেলেও পেট সমান থাকবে। এমন ধারণা যদি মনে থেকে থাকে, তা হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। না হলে পরিশ্রম জলে যাবে, লাভ কিছু হবে না। কারণ শুধু জিম করে ওজন হাতের মুঠোয় রাখা যাবে না। ভরসা রাখুন চেনা কিছু পাতায়। ডায়েটে সেগুলি থাকলে ওজন কমতে বাধ্য।
কারিপাতা
দক্ষিণ ভারতীয় খাবারে এই পাতার ‘চল’ বেশি হলেও রান্নার স্বাদ বাড়াতে কম-বেশি সব রাজ্যেই এর প্রচলন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের দাবি, প্রতি দিন সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি কারিপাতা চিবিয়ে খেলে ওজন কমতে পারে। এই পাতা শরীরের মেদ ঝরিয়ে বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও এই পাতা দারুণ উপকারী। চুল পড়াও বন্ধ হয় এই উপায়ে।
ধনেপাতা
মাছের ঝোল হোক কিংবা নিরামিষ কোনও তরকারি রান্না, এই পাতা পড়লেই তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এই পাতা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও। ধনেপাতায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিড। তা ছাড়াও এতে রয়েছে কোয়েরসেটিন নামক একটি উপাদান, যা বিপাকহার বৃদ্ধি করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
পার্সলে
এই পাতাও কিন্তু ওজন ঝরাতে বেশ উপকারী। পার্সলে একটি ডাই-ইউরেটিক খাবার। অর্থাৎ, এটি দেহের জলীয় ভর কমাতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি এই পাতায় রয়েছে ইউজেনল নামক একটি তেল যা বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে।