ত্রিকোণাসন অভ্যাস করবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে গেলে শরীরচর্চা করতে হবে। তা সে জিমে গিয়েই করুন, বা বাড়িতে। শরীরচর্চার আবার নানা মাধ্যম রয়েছে। কেউ যোগাসন কিংবা জিম না করে সাঁতার কাটতে পছন্দ করেন। কেউ আবার সাইক্লিং করেন। শারীরিক কসরত করার অভ্যাস না থাকলে, হাঁটাহাটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন অনেকে। তবে যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, যাঁদের একেবারেই শরীরচর্চা করার অভ্যাস নেই, তাঁদের জন্য তুলনায় নিরাপদ যোগাসন এটি। বয়সকালে পা, হাঁটু কিংবা কোমরের ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। এই ধরনের ব্যথা নিরাময়ে কাজে আসতে পারে ত্রিকোণাসন।
সংস্কৃতে ‘ত্রিকোণ’ শব্দটির অর্থ হল তিনকোনা। অর্থাৎ শরীরেরর ভঙ্গি এমন হবে, যাতে দেখতে অনেকটা ত্রিভূজের মতো লাগে। এই আসন দেহের ভারসাম্য বা ব্যালান্স ধরে রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
ত্রিকোণাসন অভ্যাস করবেন কেন?
এই আসন অভ্যাস করলে পা, পিঠ, কোমরের সঙ্গে সঙ্গে ঘাড়, কাঁধের পেশিও মজবুত হয়।
হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে এই আসন।
অবসাদ, উদ্বেগ, মানসিক চাপজনিত সমস্যা থাকলেও ত্রিকোণাসন অভ্যাস করা যায়।
নিয়মিত এই আসন অভ্যাস করলে অস্টিয়োপোরোসিস, সাইটিকার ব্যথা এবং মহিলাদের রজোনিবৃত্তির সময়ে যে ধরনের সমস্যা হয়, তা-ও বশে থাকে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও তেমন কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে ত্রিকোণাসন অভ্যাস করা যায়। এই আসন অভ্যাস করলে কোমর, পিঠের যন্ত্রণায় আরাম মেলে।
ত্রিকোণাসন:
১) প্রথমে দু’টি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
২) হাত দু’টি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুলকে স্পর্শ করুন।
৩) ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু দু’টি ভাঙা চলবে না। এই ভাবে দশ অবধি গুনুন।
৪) এ বার দু’টি হাত না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান।
৫) একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ৩ বার এই আসনটি করুন।
কারা এই আসন করবেন না?
যাঁদের ভার্টিগো বা মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা প্রশিক্ষকের সাহায্য ছাড়া এই আসন একেবারেই করতে যাবেন না। এ ছাড়া রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে কিংবা ঘাড়, পিঠ বা কোমরের কোনও সমস্যা থাকলেও ত্রিকোণাসন করা নিষিদ্ধ।