কোন বিশেষ কায়দা জানলে ঘুম আসতে সময় লাগবে মাত্র ১২০ সেকেন্ড? ছবি: শাটারস্টক।
একটানা ভাল ঘুম না হওয়া, সারা রাত বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করে কাটিয়ে দেওয়া, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ঘুমের ভাব থাকলেও ঘুম না আসা— এ সব সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। অনিদ্রাজনিত অসুখের হাত ধরেই ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ ইত্যাদি নানা জটিলতা বাড়ে।
নিয়মিত ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাসও অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম নয়। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে এক সময় এই ঘুমের ওষুধের প্রতি নির্ভরতা এতটাই বেড়ে যায় যে তার সাহায্য ছাড়া ঘুমোনোর কথা ভাবতেও পারেন না অনেকেই।
আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবন, উদ্বেগ, নানা ব্যস্ততার জেরে রাতের ঘুমের সময়সীমা কমে পাঁচ-ছ’ঘণ্টায় এসে ঠেকেছে অনেকেরই। তার মধ্যে যদি অনিদ্রা হানা দেয়, তবে সারা দিনের কাজে যেমন তার প্রভাব পড়ে, তেমনই ক্ষতি হয় শরীরেরও। ‘মিলিটারি’ কায়দা জানলে দু’মিনিটে ঘুম আসা সম্ভব। ভাবছেন তা কী করে? ‘রিলাক্স অ্যান্ড উইন: চ্যাম্পিয়নশিপ পারফরম্যান্স’ নামক একটি বইতে দু’মিনিটে ঘুম আনার এই পদ্ধতির উল্লেখ রয়েছে। মূলত সেনাবাহিনীর কর্মীদের জন্য এই পন্থার উদ্ভব হয়। ইউনাইটেড স্টেটস নেভি প্রি-ফ্লাইট স্কুল সেনাকর্মীদের জন্য একটি রুটিন তৈরি করে যা মেনে চলার পর সেনাকর্মীরা দু’মিনিট বা তারও কম সময়ে ঘুমিয়ে পড়তে শুরু করেন। ছ’সপ্তাহের অনুশীলনের পর এমনটা সম্ভব হয়। এই পন্থা মেনে চললে কফিই হোক বা গুলির তীব্র শব্দ কোনও কিছুই তাঁদের ঘুম আসায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে না।
কী কী করতে হয় এই মিলিটারি পদ্ধতিতে?
১) চোখ বন্ধ করে মুখ শিথিল করুন। মুখে কোনও রকম পেশি যেন সংকুচিত না হয় সেই দিকে নজর রাখুন।
২) দুই হাত শরীরের দু’পাশে রেখে কাঁধের কাছের পেশিগুলি শিথিল করুন।
৩) গভীর ভাবে শ্বাস নিন। ৪-৭-৮ পন্থা মেনে চলুন অর্থাৎ ৪ সেকেন্ড ধরে শ্বাস নিন, ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন আর ৮ সেকেন্ড ধরে নিশ্বাস ছাড়ুন।
৪) এ বার পায়ের পেশিগুলি শিথিল করুন।
৫) ১০ সেকেন্ড ধরে মনে মনে কোনও শান্ত হ্রদের ছবি চিন্তা করে মন শান্ত করুন।
৬) তখনও ঘুম না এলে ১০ সেকেন্ড ধরে ‘চিন্তা করব না’ কথাটি আওড়াতে থাকুন।