Japanese Encephalitis

Japanese Encephalitis: জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে অসমে ৪৪ জনের মৃত্যু! সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে প্রচার শুরু

অসমের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখার রিপোর্ট অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২২ ১৩:১৭
জাপানি এনসেফ্যালাইটিস রোগটি কী রকম?

জাপানি এনসেফ্যালাইটিস রোগটি কী রকম?

জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ ফের আতঙ্ক ছড়াল ভারতে। অসম জুড়েই থাবা বাসতে শুরু করেছে জাপানি এনসেফ্যালাটিস। এই রোগ ইতিমধ্যেই ৪৪ জনের প্রাণ কেড়েছে সেই রাজ্যে। মনে করা হচ্ছে, অসমে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পরই সে রাজ্যে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ আরও বাড়তে শুরু করেছে।

অসমের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখার রিপোর্ট অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৬ দিনে অসমের ২৭৪ জনের শরীরে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস বাসা বেঁধেছে। গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, চরাইদেও, ডিব্রুগড়, লখিমপুর, নগাঁও, হোজাই, মরিগাঁও, বারপেটা, নলবাড়ি, বাকসা, চিরাং এবং উদালগুড়ি-সহ অসমের বেশ কয়েকটি জেলা জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির হদিস মিলেছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতি ঠেকাতে অসমের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখা কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা রাজ্য জুড়ে এই রোগের বিরুদ্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে অসমে ৬৬০ জনের মৃত্যু হয় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে। ২০১৫ সালে অসমে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে। ২০১৬ সালে অসমে ৯৬ জনের মৃত্যু হয় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে। ২০১৭ সালে মৃত্যু হয় ৮৭ জনের। ২০১৮ সালে ৯৪ জনের। ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় ১৬১ জনের। সব কিছু মিলিয়ে বন্যার পর থেকে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস অসম জুড়ে আবার নতুন করে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

রোগের কী উপসর্গ?

যদি কোনও এডিস মশা জাপানি এনসেফ্যালাইটিস রোগাক্রান্ত শূয়োর বা পাখিকে কামড়ায়, ওই মশা তখন রোগের বাহক হয়ে যায়। তার পরে সেই মশা কাউকে কামড়ালে মানুষও ওই রোগে আক্রান্ত হন। মাথাব্যথা, জ্বর, বমি, পেশিতে ব্যথা, খিঁচুনির মতো উপসর্গ দেখা যায়। টিকা নেওয়া থাকলে রোগের হাত থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement