কতটা রান্না করবেন আর কত দিন রেখে খাবেন তা আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখুন। ছবি- সংগৃহীত
পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনেই হোক বা অন্তর্জাল ঘেটে, পুজোর আগে ওজন কমানোর বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন। সেই মতো বেশ কয়েক দিন জিভে লাগাম দিয়ে, বাইরের খাওয়াতেও ইতি টেনেছেন। কিন্তু প্রতিদিন বাড়ি ফিরে রান্না করার আলসেমিতে ডায়েট মাথায় উঠেছে? শুধু তা-ই নয়, কী রান্না করবেন, কতটা রান্না করবেন, কী ভাবে রাখলে খাবার নষ্ট হবে না— এত সব কিছু ভাবতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। তাই বাইরে থেকে সাধারণ খাবার কিনে খেয়ে নেওয়াই তুলনামূলক ভাবে সহজ বলে মনে হল।
আসলে আপাত দৃষ্টিতে রান্না করা সহজ কাজ মনে হলেও, বাইরের কাজ সামলে, বিধি-নিষেধ মেনে, রান্না করা খুব একটা সহজ নয়। তার জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। ডায়েটই হোক বা শরীরচর্চা, সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কোনও কিছুই বেশি দিন বজায় রাখা সম্ভব নয়।
পুজোর আগে ঘরোয়া খাবার খেয়ে ওজন কমাতে আগে থেকে কেমন ফন্দি আঁটবেন, রইল তার হদিস।
১) বাইরে কাজ করুন বা না-ই করুন, চার বেলা খুন্তি নাড়তে অনেকেই পছন্দ করেন না। এ দিকে সপ্তাহে পাঁচ দিন বাড়ির খাবার খাওয়ার চ্যালে়ঞ্জ তো আপনিই নিয়েছেন। কী রান্না হবে, কতটা রান্না হবে, কী ভাবে রাখবেন— সবটা আগে থেকে ভেবে রাখুন। এক বারে অনেকটা পরিমাণ রান্না করলে, তা ঠান্ডা হতেও সময় নেয়। পুরোপুরি ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ফ্রিজে তুলবেন না। সবচেয়ে ভাল হয় বায়ুরোধী, মাইক্রোওয়েভ প্রুফ পাত্রে রাখলে। প্রতি বার যতটুকু খাবেন, ততটুকুই ফ্রিজ থেকে বার করবেন।
২) রান্না করার আগে পুষ্টিবিদের দেওয়া খাবারের তালিকা অনুযায়ী কী কী আপনি খেতে পারেন, তা বুঝে একটা তালিকা করে নিন। যেহেতু অনেকটা পরিমাণ রান্না করে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, সেই পরিমাণ জিনিস কিনে আনুন।
৩) বাইরের খাওয়া খাবেন না বলে প্রতিজ্ঞা তো করে ফেলেছেন। কিন্তু কাজে বেরোনোর আগে বা ফিরে এসে প্রতিদিনের রান্নার উপকরণ জোগাড় করতে গিয়েই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কম সময়ে কাজ উতরে দেওয়ারও ফন্দি আছে। রোজ রান্নায় ব্যবহার করেন যেমন— আদা, রসুন, পেঁয়াজ, টম্যাটো, সর্ষে, পোস্তর মতো মশলা অনেকটা করে বেটে রেখে দিন। কারও সাহায্য ছাড়াই ঝটপট রান্না হয়ে যাবে।
৪) পুষ্টিবিদ সময় বেঁধে খাওয়ার তালিকা করে দিলেও, আপনার শরীর এবং তার প্রবণতাগুলি আপনিই সবচেয়ে ভাল চেনেন। তাই একবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে বার বার খাওয়ার মতো নাস্তা কিনে রেখে দিন।
৫) কাচের বা স্টিলের গ্লাসে জল খান। প্লাস্টিকের বোতল একেবারে বাদ দিন। ওজন কমার ক্ষেত্রে সরাসরি কোনও প্রভাব না থাকলেও লক্ষ্যপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই অভ্যাস।